বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে ৫২৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৬৭ শতাংশ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ এসব কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকবে মোট সাড়ে ১২ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে জোরদার করা হয়েছে পুলিশের নিয়মিত অভিযান। নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, তাদের আওতাধীন খুলনা-২ ও ৩ আসন এবং খুলনা-১ ও ৫ আসনে (আংশিক) ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ২৪২টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৬৭টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন এবং সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন করে পুলিশ থাকবে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জন করে থাকবেন আনসার সদস্য।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, খুলনা-১, ৪, ৫ ও ৬ আসনে তাদের আওতাধীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৭৭টি। এর মধ্যে ২৮৩টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৯৪টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৬৩০ জন পুলিশ, পাঁচ হাজার ৭১২ জন আনসার ও ৪৭৭ জন গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) দায়িত্ব পালন করবেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সোনালী সেন বলেন, কয়েক বছর আগে তারা ঝুঁকিপূর্ণ বলতেন, এখন সেগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বলে থাকেন। বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এ তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা, কোনও প্রার্থীর বাড়ির সন্নিকটে ভোটকেন্দ্র কি-না, প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা, যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচজন এবং সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পুলিশ সদস্যের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।