Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী

ভোলা থেকে মো. জহিরুল হক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে একক প্রার্থী দিয়েছে চরমোনাই পীরের হাতপাখা মার্কার বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনে।
প্রার্থী ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থী থাকলেও একমাত্র বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনেরই একক প্রার্থী রয়েছে ভোলা জেলার চারটি আসনে।

ভোলা-১, ভোলা সদর উপজেলা নিয়ে এ আসন। এ আসনে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন মুফতি ইয়াছিন নবীপুরী। তিনি ভোলা জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলামী বক্তব্যের মাধ্যমে তার দল ও দ্বীনী প্রচারের কারণে অনেক পরিচিত। তার আশা, ইসলামী মূল্যবোধ বাস্তবায়ন করতে হলে তার দলের হাতপাখা মার্কায় তাকে সবাই ভোট দেবেন।

ভোলা-২, (বোরহাউদ্দিন-দৌলতখান) এ দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি। এখানে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন মুফতি ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা। তিনিও এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। তিনি বলেন, আমাদের দলের আমীর হলেন মুফতি সৈয়দ মাওলানা রেজাউল করিম। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনে মানুষ পীর সাহেবের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

ভোলা-৩, (লালমোহন-তজুমদ্দিন) দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি। এ আসনের প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার মানুষের প্রিয় মানুষ হাফেজ মাওলানা মো. মোসলেহ উদ্দিন। যিনি মানুষের মাঝে বিভিন্ন কাজ ও উত্তম ব্যাবহারের মাধ্যমে অনেক জনপ্রিয় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। আগামী নির্বাচনে মুসলিমদের দুনিয়া ও আখিরাতের উন্নয়নের স্বার্থে পীরসাহেব সৈয়দ মুফতি রেজাউল করিমের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সঠিক ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে সে প্রত্যাশাই নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সবার প্রতি।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) এই দুই উপজেলা নিয়ে এ আসন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ। তিনি দীর্ঘ দিন থেকেই আইন ব্যবসাসহ ঢাকা ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে জড়িত। তিনি এলাকায় সৎ ও মানুষের উপকারী একজন আইনজীবী হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি বলেন, মানুষ সৎ কাজকে মূল্যায়ন করলে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাইয়ের পীর সাহেব মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আগামী একাদশ নির্বাচনে জয়যুক্ত করে মহান সংসদে ইসলামী মূল্যবোধের শাসন ব্যাবস্থা কায়েমের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। অন্য দিকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করে, তা হলে জাতীর কাছে নির্বাচন কমিশন, দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন হয়ে উঠবে একটি গৌরবময় প্রতিষ্ঠান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ