বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনী-৩ (দাগনভূইয়া-সোনাগাজী) আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পদভারে মুখর ছিল কিন্তু দলের প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় বর্তমানে এ আসনে অনেকটা শূন্যতা বিরাজ করছে। প্রায় দেড় ডজন নেতা এ আসনে মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে এবং তৃণমূলে দৌঁড়ঝাপ করে। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে মনোনয়ন ছিনিয়ে নেন সেনা কর্মকর্তা লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি প্রথমে আ.লীগ পরে জাপার মনোনয়ন সংগ্রহ করে রাতারাতি প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হন। বর্তমানে তিনি মহাজোট ঘোষিত প্রার্থী না হলেও সেখানে আ.লীগ থেকে কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি। কিছুদিন আগে ফেনীতে সংবাদ সম্মেলনে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাসুদ চৌধুরী মহাজোটের প্রার্থী নন।
এদিকে মাসুদ চৌধুরীকে কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেনা আ.লীগ। আ.লীগের মনোনয়নের দৌঁড়ে এ আসনে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি আবুল বাশার। আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও শমী কায়সার। এবার বাশার আর ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন পেতে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন আবুল বাশার। মনোনয়নপত্র জমা দেন তার ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ সৈকত।
এদিকে, ফেনী-৩ আসনে পিতা-পুত্রের মনোনয়নপত্র দাখিল করায় এলাকায় আলোচনায় রয়েছেন তারা। আবুল বাশার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেও ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ সৈকতকে নিয়ে ভোটের মাঠে থাকবেন বলে অনেকের ধারণা।
আবুল বাশার জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। জনগণের রায়ে জয়ী হয়ে আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন। নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু এ আসনে নির্বাচন করার কথা ছিল। সে লক্ষে তিনি দলের মনোনয়নপত্র ও সংগ্রহ করেন। কিন্তু খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ফেনী-৩ আসন নয় পুরো ফেনী জেলা বিএনপি আশার আলো দেখেছিল। মিন্টুর নেতৃত্বে ফেনীর-৩ টি আসনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখেছিল দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় কিছুটা হতাশায় ছিলেন নেতাকর্মীরা। বর্তমানে বিএনপির বৈধ প্রার্থী আকবর হোসেন যাচাই বাছাইতে টিকে যান। তবে প্রার্থীতা ফিরে পেতে জনি গত নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। ইতোমধ্যে দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা দলের হাইকমান্ডের দাবি জানান যে দাগনভূইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক। নেতাকর্মীরা জানান তিনি দাগনভূইয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।
এদিকে জানতে চাইলে দাগভূইয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক ছুট্টু বলেন, আকবর হোসেন হোসেনকে নিয়ে নেতাকর্মীরা আশাবাদী কারণ তিনি সাংগঠনিক লোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে বিএনপির বিজয় হবে। এছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেএসডির যুগ্ম-সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাসদ প্রার্থী হারাধন চক্রবর্তী, বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মাও. আবদুর রাজ্জাক, গোলাম হোসেন ও মো. মাঈন উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।