Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রীন ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ নেই ব্যাংকের মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম


বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৫ শতাংশ গ্রীন ব্যাংকিংয়ে অর্থায়ন করার কথা থাকলেও মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে জীব-বৈচিত্র্য খাতে ব্যাংকের অর্থায়ন আরও কম। মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ ব্যাংক জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়ন করছে। এ অর্থায়নের বেশির ভাগই যাচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘হাউ টু ইনকর্পোরেট বায়ো-ডাইভার্সিটি ইস্যুস ইন গ্রীন ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। বিআইবিএম এবং বাংলাদেশ পৌষ যৌথভাবে এ গবেষণা কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। তিনি গ্রীন ব্যাংকিংয়ে কার্যক্রমের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএম এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাকেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা; বিআইবিএমের প্রফেসর এবং পরিচালক (ট্রেনিং) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব; পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী; মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী আনিস এ খান; ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমাইরা আজম; বাংলাদেশ পৌষের প্রেসিডেন্ট এম. সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সাত সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক তাহমিনা রহমান; অন্তরা জেরীন; রেক্সোনা ইয়াসমিন এবং তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশ পৌষের প্রেসিডেন্ট এম সানোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আসিফ ইকবাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রীন ব্যাংকিং এবং জীব বৈচিত্র্য খাতের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গ্রীন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে একটি আলাদা গাইড লাইন তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইনের চেয়ে ব্যাংকারদের সচেনতা জরুরী।
ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, জীব বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়নে পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ব্যাংকগুলোকে এ দিকে নজর দেওয়ার আহবান জানান।
ড. শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, গ্রীন ব্যাংকিং খাতে এক সময় কোন সচেতনা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। একইভাবে জীব-বৈচিত্র্য খাতেও এক সময় বড় পরিবর্তন আসবে ব্যাংকারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে।
হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, গ্রীন ব্যাংকিং এবং জীব বৈচিত্র্যতা বিষয়ে সব পর্যায়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। আগামী দিনে এ খাতে অর্থায়নে ব্যাংকারদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আনিস এ খান বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), এজেন্ট ব্যাংকিংসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়ন করতে হবে। এতে ঝুঁকি কমে আসবে। তিনি বলেন, বøু- ইকোনমি ব্যাংকিং খাতের অর্থায়নে নতুন খাত সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ব্যাংকারা দৃষ্টি দিতে পারে।
এম সানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলো সম্পৃক্ত হলে জীব-বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে। আগামী দিনে জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
হুমাইরা আজম বলেন, জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, আগামী দিনে গ্রীন ব্যাংকিংয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের গ্রীন ব্যাংকিং পণ্যে অর্থায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর জোর দেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংকিং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ