বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীন সংকট ও আওয়ামীলীগের সাথে জাপার টানাপোড়েনের মাঝে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরীকদল বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রার্থীদের নিয়ে নতুন টেনশনে পড়েছে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টসহ ছোটবড় ৫৮টি দল নিয়ে গঠিত জাতীয় সম্মিলিত জোটের সাথে মহাজোটের আসন ভাগাভাগির কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় চট্টগ্রামে ১১টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ইসলামি ফ্রন্ট। সবকটিতেই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব আসনের ৭ উপজেলাতেই রয়েছে ইসলামি ফ্রন্টের শক্তিশালি অবস্থান। এমনকি পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়াতে রয়েছে ইসলামি ফ্রন্ট সমর্থিত নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া ফটিকছড়ির নাজির হাট পৌরসভায় রয়েছে ইসলামী ফ্রন্ট সমর্থিত কমিশনার। বিগত সময়ে দেশের দুই বড় জোট অর্থাৎ মহাজোট ও বিশদলীয় জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করেই তারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই বিজয় দলটির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এসব সংসদীয় আসনে। রাজনৈতিক বোদ্ধামহল বলছে, মহাজোটের সাথে ইসলামী ফ্রন্টের সমঝোতা না হলে এসব আসনে দারুণ সমস্যায় পড়বে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। ইতিমধ্যে তিনি আরেক মহাজোটপ্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গণমাধ্যমের আলোচনায় এসেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-১১, ১২ ও ১৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স. উ. ম. আব্দুস সামাদ, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী) আসনে মাওলানা আবু নাওশাদ নঈমী এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে দলের চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের সভাপতি নাঈমুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী কর্মকা- শুরু করেছেন বলেও দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা স. উ. ম. আব্দুস সামাদ।
তিনি ইনকিলাবকে বলেন, সম্মিলিতি জাতীয় জোটে জাতীয় পার্টির পরই আমাদের অবস্থান। আমরা সম্মিলিত জাতীয় জোটের মাধ্যমে মহাজোটের কাছে চট্টগ্রামে ৩টি আসন দাবি করেছি। এব্যাপারে জাপা ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আমাদেরকে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিছুদিন আগেও জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের সাথে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু এখন জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীন সংকট ও মহাজোটের সাথে টানাপোড়েনের কারণে এখনো আমাদেরকে কোন কোন আসন দিচ্ছে তা নিশ্চিত করেনি। এভাবে হলে আমরা এককভাবে যে প্রার্থী দিয়েছি তা বহাল রাখবো। এসব আসনে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সুসংহত। বিগত উপজেলা নির্বাচনে দুইজোটের হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাজিত করে যেমন আমাদের প্রার্থীরা ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল তেমনি এবারও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এসব আসনে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবে বলে আমরা আশাবাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।