বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। বৃহষ্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানীতে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সংবাদটি এলাকায় পৌঁছলে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় ও আরামনগর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই পর্বে রিটার্নিং অফিসার আহমেদ কবীর বিএনপি প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষনা করেন। ফরিদুল কবীর সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে যথাযথভাবে অব্যাহতি না নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় অবৈধÑ বলে জানানো হয়। পরদিন ৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসারের বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপীল করেন। বৃহস্পতিবার তাঁর আপীল শুনানী শেষে মনোনয়নপত্র চুড়ান্ত বৈধ ঘোষনা করা হয়। এতে তাঁর ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে কোনো বাধা থাকলো না।
এদিকে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করে। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান মিলন বলেন, ‘ফরিদুল কবীর তালুকদার সরিষাবাড়ী বিএনপির শেষ ভরসা। তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। তাই সৃষ্টিকর্তার শোকরিয়া জানাতে শুক্রবার বাদ জুম’আ দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।’
মুঠোফোনে ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য ২৬ নভেম্বর তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ও আনুষাঙ্গিক জিনিস ইউএনওকে বুঝিয়ে দিয়ে ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্রের সাথে উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগপত্রের কপি জমা দেওয়া হলেও তা গ্রহণ না করে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।’ তিনি দাবি করেন, ‘তাঁর বিজয় ঠেকাতে সরকারি নির্দেশে রিটার্নিং অফিসার অন্যায়ভাবে এটা করেছিলেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।