পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনি ইশতেহারে জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাচাও আন্দোলন (পবা)। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রত্যাশা এবং নির্বাচনি অঙ্গীকার শীর্ষক এক সেমিনারে এই আহ্বান জানানো হয়।
এসময় বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকা, সুস্থতা ও উন্নয়নের জন্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। আসন্ন নির্বাচনে যারাই জয়লাভ করুক তারা যেন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো তাদের ইশতেহারে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।
সেমিনারে পবা সভাপতি আবু নাসের খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কেন্দ্রিক নানা অঙ্গীকার করছে। এরমধ্যে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কী ভাবছে, আগামী এক বছর তারা কী কী কাজ করবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়া দরকার। পরিবেশ সংগঠনগুলো বিষয়টি মনিটরিং করবে।
সেমিনারে পবা’র পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো- প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে যত্মশীল হতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্য হিউম্যান হেলথ, প্রাণী স্বাস্থ্য এনিম্যাল হেলথ এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য এগ্রিকালচার হেলথ মূলত একই সূত্রে গাথা। একে বলা হয় “এক স্বাস্থ্য- অন হেলথ। জনস্বাস্থ্য রক্ষার মূলনীতি হতে হবে এক স্বাস্থ্যনীতি।
বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিবেশ সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনবল এবং আইনি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বছরে একবার প্রতিটি আইনের পর্য়ালোচনা বব্যস্থা থাকতে হবে। এতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে গতিশীল ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে। এই কর্তৃপক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি হবে চিকিৎসা ও হাসপাতাল বিভাগ। অন্যটি হবে জনস্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য (হেলথ) কার্ড দিতে হবে। কার্ডধারীরা সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে সব ওষুধসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা পাবেন। অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে। বিলাসদ্রব্য, ধূমপান ও অন্যান্য নেশাজাত সামগ্রী থেকে অতিরিক্ত কর আদায় করে স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল তৈরি করতে হবে। সংক্রামক রোগের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ করতে হবে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে অন্যসব নীতি এবং আইন সংস্কার করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর নির্ধারিত মান অনুযায়ী কৃষিকে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ক্রমশ রাসায়নিক কীটনাশক ও সারের সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএমও ফসল উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে। পোলট্রি ফিড, ফিস ফিড, লাইভ-স্টক ফিড, এগুলো মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. লেনিন চৌধুরী। পবা সভাপতি ড. আবু নাসের খান ছাড়া সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, ঢাকা-৮ আসনের বাসদের মনোনয়ন প্রার্থী শম্পা বসু, ঢাকা-৭ আসনের বাসদের মনোনীত প্রার্থী খালেকুজ্জামান লিপন, ড. মোস্তাক হোসেন, ড. আবু সাইদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।