Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে প্রাণনাশের শঙ্কায় বিএনপি প্রার্থী, মাঠে ব্যস্ত আ.লীগ

মো. ওমর ফারুক, ফেনী : | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে প্রাণনাশের শঙ্কায় রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি। তিনি ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি। 

২০০৮ সালের নির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবাহান চৌধুরীকে হারিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। ফেনী বিএনপির প্রবীন এ নেতা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি ছাড়াও এ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিষ্টার। মনোনয়নের ব্যাপারে দল থেকে দুই জনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে দুইজনই টিকে যান। দলে ৮ ডিসেম্বরের পর দলের চূড়ান্ত প্রার্থীর ব্যাপারে ঘোষণা আসবে।

এদিকে ভিপি জয়নালের প্রার্থীতা অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। তাই সরকার দলের প্রার্থীরা তাকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। গত শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভিপি জয়নাল বলেন, জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর লোকজন তার বাসা বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে গালাগাল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এছাড়া তার সাথে দেখা করতে আসা নেতাকর্মীরা ক্যাড়ারদের মারধরের শিকার হচ্ছেন। তার সাথে দেখা করতে আসলে তাদের পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করছে। কয়েকদিন আগে ফরহাদ নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বাচ্চু, কাজীরবাগের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুর হক, শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তারেক ইকবাল মণি, মো. ইয়াসিন, শাহাদাত হোসেনকে মারধর করে পুলিশে দেয় ক্যাডারেরা। ফেনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালামের নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী প্রতিনিয়ত তার এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানান। বিষয়টি ফেনীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে জানালে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে তার এবং দলের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় নেতাকর্মীরা দোটানার মধ্যে রয়েছেন। দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা ৮ তারিখের আগে বলা যাচ্ছেনা। প্রার্থী চূড়ান্ত হবার আগেই বিএনপি প্রার্থীকে স্বঘোষিত ক্যাড়াররা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে ফেনী সদর আসনে বিএনপির দুইজন প্রার্থীর ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিপি জয়নাল বলেন, সব আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। এখানে আমার প্রার্থীতা নিশ্চিত এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। বিএনপির আরেক প্রার্থী জিয়া উদ্দিন মিষ্টার আশাবাদী তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর সুসংগঠিত রেখে দলকে পরিচালনা করে আসছি। রাজনীতি করতে গিয়ে জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে নিজের যোগ্যতার পাশাপাশি পিতার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাবো। মামলা হামলায় জর্জরিত বিএনপি এ আসনে ভোটারদের মাঠে আনতে পারলে বিপুল ভোটে বিএনপির বিজয় হবে বলে সকলের বিশ্বাস।

এদিকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে নিজাম হাজারীর পক্ষে মাঠে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। আ.লীগের নেতাকর্মীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে তাদের মার্কা নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। ফেনীর ৩টি আসনের মধ্যে একমাত্র সদর আসনেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলার অন্যান্য এলাকার প্রার্থীরাও তৎপর রয়েছে। আ.লীগের এ আসনে ভোট যুদ্ধে জয়ী হওয়াটাও অনেকাংশে সহজ হবে বলে মনে করেন দলের প্রবীন নেতারা। এ আসনে অন্যান্য দল থেকে নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা নুরুল করিম বেলালী, জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ