Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হারিয়ে গেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য সমৃদ্ধ মাটির হাঁড়ি পাতিলের দোকান

মীরসরাই(চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৩ পিএম

বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সাথে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীণ সংস্কৃতির নানান উপকরনাদি ও গৃহস্থালি নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। জানা গেছে, মীরসরাইয়ের মৃৎশিল্প তৈরীকারক পরিবারগুলোর সদস্যদের মাঝে চলছে অভাব-অনটন। কারণ তাদের তৈরি পণ্য এখন বাজারে না চলায় বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার জীবনের চালচিত্র। মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার হাজীশ্বরাই গ্রাম। ওই গ্রামে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য তৈরি করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা। পরিবারের নারী সদস্যরা রঙের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
পূর্বে মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলা-মাইন এবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কথিত আছে এ মৃৎ শিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বৎসর পূর্ব থেকে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি কড়া, সরা,বাসন, মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির ব্যবহার করত: কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। আজ শুধু গ্রাম বাংলার নয় শহরের শিক্ষিত সমাজ ও মাটির জিনিস ব্যবহার করে। তবে তা বিচিত্ররূপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রূপ দিয়ে মৃৎ শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
এক সময়ে মীরসরাইয়ের হাজীশ্বরাই, ওয়াহেদপুর, করেরহাট, গোপীনাথপুর, মায়ানী, সাহেবপুর গ্রামে ছিলও মাটির তৈরি পণ্য সামগ্রীর সমাহার। বিভিন্ন বাজারে ছিল মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল সহ অন্যান্য সামগ্রীর দোকান। কিন্তু এখন আর কুমারদের কর্তৃত্ব নেই এখানে। মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ বাজারে পাতিল দোকান নামে কুমারদের মাত্র একটি দোকান রয়েছে। এখানে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দৈ পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা,বাসন-কোসন, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়। তারাও অস্তিত্বে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে কোনরকম নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। জোরারগঞ্জ বাজারের একমাত্র মৃৎশিল্প পণ্যের দোকানের বিক্রেতা সত্তরোর্ধ বয়োবৃদ্ধ সুধাংশু পাল জানান, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তার এই ব্যবসা করে আসছি। মীরসরাইয়ে কুমাররা পেশা বদল করায় মাটির এসব পণ্য সামগ্রী চাঁদপুর, কুমিল্লা, পদুয়া থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক এবং সিলভার সামগ্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানান তিনি।

 

বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সাথে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীণ সংস্কৃতির নানান উপকরনাদি ও গৃহস্থালি নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। জানা গেছে, মীরসরাইয়ের মৃৎশিল্প তৈরীকারক পরিবারগুলোর সদস্যদের মাঝে চলছে অভাব-অনটন। কারণ তাদের তৈরি পণ্য এখন বাজারে না চলায় বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার জীবনের চালচিত্র। মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার হাজীশ্বরাই গ্রাম। ওই গ্রামে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য তৈরি করছে ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা। পরিবারের নারী সদস্যরা রঙের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
পূর্বে মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলা-মাইন এবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কথিত আছে এ মৃৎ শিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বৎসর পূর্ব থেকে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি কড়া, সরা,বাসন, মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির ব্যবহার করত: কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। আজ শুধু গ্রাম বাংলার নয় শহরের শিক্ষিত সমাজ ও মাটির জিনিস ব্যবহার করে। তবে তা বিচিত্ররূপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রূপ দিয়ে মৃৎ শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।
এক সময়ে মীরসরাইয়ের হাজীশ্বরাই, ওয়াহেদপুর, করেরহাট, গোপীনাথপুর, মায়ানী, সাহেবপুর গ্রামে ছিলও মাটির তৈরি পণ্য সামগ্রীর সমাহার। বিভিন্ন বাজারে ছিল মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল সহ অন্যান্য সামগ্রীর দোকান। কিন্তু এখন আর কুমারদের কর্তৃত্ব নেই এখানে। মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ বাজারে পাতিল দোকান নামে কুমারদের মাত্র একটি দোকান রয়েছে। এখানে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দৈ পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা,বাসন-কোসন, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়। তারাও অস্তিত্বে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে কোনরকম নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। জোরারগঞ্জ বাজারের একমাত্র মৃৎশিল্প পণ্যের দোকানের বিক্রেতা সত্তরোর্ধ বয়োবৃদ্ধ সুধাংশু পাল জানান, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে তার এই ব্যবসা করে আসছি। মীরসরাইয়ে কুমাররা পেশা বদল করায় মাটির এসব পণ্য সামগ্রী চাঁদপুর, কুমিল্লা, পদুয়া থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক এবং সিলভার সামগ্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণ ঐতিহ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ