বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের জেরে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্তকোন্দল ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা। যার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভারিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন সা’দপন্থী অনুসারীদের পক্ষে মাওলানা আশরাফ আলী এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে শনিবারের সংঘর্ষে নিহত ঈসমাইল মণ্ডলের ছেলে জাহিদ হাসানসহ তাবলীগের সা’দপন্থী অংশের বাংলাদেশী মুরুব্বী ও অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত শনিবার টঙ্গীতে তাবলীগের দুই অংশের বিরোধের জেরে এক সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহতসহ দুই শতাধিক লোক আহত হয়। ওই ঘটনায় ২০ থেকে ২০ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে টঙ্গী থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আশরাফ বলেন, বিশ্ব তাবলীগের আমির নিযুক্তিসহ বর্তমান আমীর মাওলানা সা’দের কিছু বক্তব্য নিয়ে এ দ্বণ্দ্বেদ্বর শুরু হয়। এ বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রতিপক্ষের মুরুব্বীদের সাথে আলোচনার জন্য কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলেও তারা যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি।
সাত দফা দাবির মধ্যে- উভয়পক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সমতার ভিত্তিতে টঙ্গী ময়দান ও কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারসহ ভিন্ন তারিখে জেলা-উপজেলার মারকাজগুলো ব্যবহার করা, কোন পক্ষ কারো বিরুদ্ধে লিখিত বা মৌখিক অপপ্রচার না চালানো, আগের মতোই শান্তিপূর্ণ জাময়াত পরিচালনা তবে কোন মসজিদে একসাথে দুপক্ষের জামায়াত যাবে না, উভয়পক্ষ দেশী-বিদেশী মুরুব্বীদের কোন বাধা ছাড়াই আমন্ত্রণ জানাতে পারবে, কোনভাবে মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার না করা, দুপক্ষের বিরোধে তাবলীগের মেহনতবিহীন কোন ব্যক্তি তথা আলেম বা মাদ্রসার শিক্ষক জড়াতে পারবে না এবং কোন এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন যথাযথভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।