বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় পুলিশের ওপর হামলা ও জনমনে ভীতি প্রদর্শন, উস্কানি এবং সদরঘাট থানার একটি হোটেলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ডা. শাহাদাত হোসেন।’ এমন সব অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা আরও তিনটি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট করার নির্দেশ দেন আদালত। সদরঘাট থানা পুলিশ রোববার এ আবেদন করে। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন। এ নিয়ে গত ৭ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর নগর বিএনপির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ধানে শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে চারটি মামলায় নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হলো।
শাহাদাতের আইনজীবীরা জানান, বাকলিয়া থানায় অনুরূপ আরও তিনটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। আগামী বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হবে। গ্রেফতারের আগে তার বিরুদ্ধে ৪৫টি মামলা ছিল। সবকটিতেই জামিনে ছিলেন তিনি। আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পুলিশ একের পর এক গায়েবি মামলায় ডা. শাহাদাতকে গ্রেফতার দেখিয়ে চলছে। অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সোমবার আরও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। চার মাস আগে ফটিকছড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমি তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। জেলা আদালতের ওসি (প্রসিকিউশন) বিজন কুমার বড়ুয়া বলেন, ফটিকছড়ি থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় পরবর্তীতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বিজন কুমার বড়ুয়া জানান, গত ৪ আগস্ট ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের লায়লা কবির ডিগ্রি কলেজ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গিয়াস কাদের চৌধুরীর নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকির’ মামলায় গত ২২ নভেম্বর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে গিয়াস কাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে ১০দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোতি দেন।
ফটিকছড়ির কথিত ওই হুমকির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা এখন ১০। বিএনপির অভিযোগ এসব গায়েবি মামলা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন গিয়াস কাদের। কিন্তু খেলাপি ঋণ ও দলীয় মনোনয়নের চিঠি উপস্থাপন না করায় তার মনোনয়নই রোববার বাতিল হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।