বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরে ৫টি নির্বাচনী আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৫১ জনকে বৈধ এবং ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুল রহমান খান বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ ৫টি আসনের সহকারী রিটানিং কর্মকর্তাগণ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরে ৫টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে চাঁদপুর-১ আসে ১১ জনের মধ্যে এক জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একই ভাবে চাঁদপুর-২ আসনে ৯ জনের মধ্যে এক জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। চাঁদপুর-৩ আসনে ১২ জনেরই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়। চাঁদপুর-৪ আসনে ১৭ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এবং চাঁদপুর-৫ আসনে ১০ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর (আওয়ামী লীগ থেকে-নৌকা), গোলাম হোসেন (আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা), আ ন ম এহসানুল হক মিলন (বিএনপি-ধানের শীষ), মোশারফ হোসেন (বিএনপি ধানের শীষ), নাজমুন নাহার বেবী (বিএনপি ধানের শীষ), অধ্যাপক এ কে এস এম শহীদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), এমদাদুল হক রুমন (জাতীয় পার্টি লাঙ্গল), নুরুল আলম মজুমদার (ইসলামী ফ্রন্ট মার্কা মোমবাতি), জোবায়ের আহমেদ (ইসলামী আন্দোলন হাত পাখা) ও আজাদ হোসেন (গণফোরাম/জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ধানের শীষ)।
এ আসনে এক শতাংশ ভোটের বৈধতা না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার মোশারফ হোসেনের মনোননয়পত্র বালিত করা হয়।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (আওয়ামী লীগ নৌকা), নুরুল আমিন রুহুল (আওয়ামী লীগ নৌকা), ড. জালাল উদ্দিন (বিএনপি ধানের শীষ), তানভির হুদা (বিএনপি ধানের শীষ), এমরান হোসেন মিয়া (জাতীয় পার্টি লাঙ্গল), আসরাফ উদ্দিন (ইসলামী আন্দোলন হাত পাখা), মো. মনির হোসেন (ইমলামী ঐক্যজোট) ও নরুল আমিন লিটন (মুসলিম লীগ)।
এক শতাংশ ভোটের বৈধতা না পাওয়ায় এ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী খায়রুর হাসানের মনোনয়পত্র বালিত করা হয়।
চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর ও হাইমচর) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : ডা. দীপু মনি (আওয়ামী লীগ নৌকা), শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (বিএনপি ধানের শীষ), অ্যাড. ফজলুল হক সরকার (নাগরিক ঐক্য/ বিএনপি ধানের শীষ), রাশেদা বেগম হিরা (বিএনপি ধানের শীষ), এস এম আলম ( জাতীয় পার্টি /জেপি/ বিএনপি ধানের শীষ), অ্যাড. সেলিম আকবর (গণ ফোরাম/জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ধানের শীষ), আবু জাফর মো মাঈনুদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি), মো. জয়নাল আবেদীন শেখ (ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা), দেওয়ান কামরুনন্নেসা (জাকের পার্টি গোলাপ ফুল), শাহজাহান তালুকদার (বাসদ মই), মো. আজিজুর রহমান (বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি) ও মো. মিজানুর রহমান (তরীকত ফেডারেশন মার্কা ফুলের মালা)।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : ড. মুহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (আওয়ামী লীগ নৌকা), মোহাম্মদ শফিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ নৌকা), এম এ হান্নান (বিএনপি প্রার্থী মার্কা ধানের শীষ), কাজী রফিকুল ইসলাম (বিএনপি মার্কা ধানের শীষ), মো. জাহিদুল ইসলামন রোমান (স্বতন্ত্র), মাইনুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি লাঙ্গল), মকবুল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা), আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া (বাসদ মার্কা মই), দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী (ন্যাপ), বাচ্চু মিয়া ভাষানী (জাকের পার্টি গোলাপ ফুল), গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক (ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি), মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া (মুসলিম লীগ)।
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী লায়ন হারুনুর রশিদ দলীয় মনোনয়নপত্র সঠিক সময়ে জমা না দেওয়ায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আবু জাফর মো. ছালেহ এর এক শতাংশ ভোটের বৈধতা না পাওয়ায় এবং হলফনামা না লিখায় বিএনপি প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন নসুর মনোননয়পত্র বাতিল করা হয়।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন : মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (আওয়ামীলীগ নৌকা), মো. মমিনুল ইসলাম ( বিএনপি ধানের শীষ), এম এ মতিন (বিএনপি ধানের শীষ), মো. মনির হোসেন মজুমদার ( জাসদ ইনু মোশাল), আলহাজ আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি), শাহাদাত হোসেন (ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা), সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ মার্কা চেয়ার), ওয়াহেদ মোল্লা (জাকের পার্টি গোলাপ ফুল)।
এ আসনে এলডিপি প্রার্থী নেয়ামুল বশির ও জাতীয় পার্টির খোরশেদ আলম খুশুর ঋণ খেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বালিত ঘোষনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।