Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে কারণে সিলেটে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:০৯ পিএম

সিলেটের ৬টি সংসদীয় আসনে ১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিনও রয়েছেন। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে এই ১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বৈধ ঘোষণা করা হয় ৫১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।
বাতিল তালিকায় রয়েছেন- সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন-সদর) আসনের বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সিলেট-২ (ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ) আসনে মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. এনামূল হক সরদার, মুহিবুর রহমান ও আবদুর রবের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও আব্দুল ওয়াদুদের মনোনয়ন বাতিল হয় মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষরে গড়মিল পাওয়া যায়। এছাড়া একই আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয় হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসনে ইসমাইল আলী আশিকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মনোনয়নপত্রে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী দাবি করলেও দলীয় মনোনয়ন জমা না দেয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয় সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে। এ আসনে মোট ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হয় হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়। এছাড়া বিদ্যুৎবিল খেলাপির জন্য ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী এম এ মতিন চৌধুরী, বিদ্যুৎবিল ও ঋণখেলাপির দায়ে ইসলামী আন্দোলনের নূরুল আমিনের, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমদ আল ওয়ালীর এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনীরের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সিলেট-৬ আসনে (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানিবাজার) হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়ার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আপিলে ক্রটি সংশোধন দেখাতে পারলে প্রার্থীতা নিশ্চিত হয়ে যাবে, এমনটা জানিয়েছেন রিটার্ণিং অফিসার এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ