Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বামী ভাগ্যে সিলেট বিভাগে লুনা-জয়া নির্বাচনী যুদ্ধে!

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:০৬ পিএম

রাজনীতির মাঠ ও ভোট যুদ্ধের দাপুটে স্বামীদের কারনে কপাল খুলছে সিলেট বিভাগে দুই নারী নির্বাচনী যুদ্ধের। ১৯টি আসনে রাজনৈতিক বিভিন্ন দল থেকে ১৩ নারী মনোনয়নের প্রত্যাশা করল্ওে স্বামী ভাগ্যে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মাত্র দু‘জন। সিলেট-২ আসনে বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনা এবং সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্ত। তাহসিনা রুশদীয় লুনা কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক, বিএনপির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলী স্ত্রী। অন্যজন বিশিষ্ট পাল্লামেন্টেরিয়ান, দেশের বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদ বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
এম. ইলিয়াস আলী ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর থেকে রাজনীতির মাঠে পর্দাপণ করেন স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। সিলেট-২ আসনের অন্তর্ভূক্ত বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপিকে সংগঠিত করতে কাজ করেন তিনি। আগামী নির্বাচনে লুনার ওপরই আস্থা রেখেছে বিএনপিবিএনপি মনে করছে, ইলিয়াস ‘নিখোঁজের’ বিষয়টি কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন লুনা। এলাকায় ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তা মুখে মুখে।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ছিলেন বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। প্রয়াত হওয়ার পর উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগও তার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে। যদিও তাকে বাদ দিয়ে অন্য যে কোন নেতাকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন ওই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতা।
এ দুই নেত্রী ছাড়া বাকি ১১ মনোনয়ন প্রত্যাশী নেত্রীই মনোনয়ন পাচ্ছেন না। সিলেট-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মহিলাদল নেত্রী ডা. নুরুন্নাহার বেগম, সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চান দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শিউলী আক্তার, সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং বিএনপি থেকে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এদের কেউই পাননি দলের টিকেট।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম (শাহানা রব্বানী) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান। তবে তাদের ভাগ্যেও জুটেনি দলীয় মনোনয়ন। মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন নেহার বেগম। তিনি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা জাসদের সদস্য। তিনি পাননি মনোনয়ন।

মৌলভীবাজার-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। একই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদা রব্বানী, পাননি তিনিও। হবিগঞ্জ-১ আসনে এবার সরাসরি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে লড়তে চেয়েছিলেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের বর্তমান সাংসদ। আর হবিগঞ্জ-৪ আসনে (চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা) বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন শাম্মী আক্তার। তিনি সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ, বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক। এই দুজনও দলীয় মনোনয়ন পাননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ