বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সিলেটের ছয়টি আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ২৩ জনই বিভিন্ন মামলায় আসামী। তবে মামলার আসামি হননি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩ জন।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের ১১ প্রার্থীর কাঁধে একটি করে মামলা। যা থেকে বিভিন্ন সময় খালাস পেয়েছেন অনেকে, আবার কারও মামলা রয়েছে আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দু’টি করে রয়েছে পাঁচজনের, তিনটি করে দুইজনের, চারটি একজন। এছাড়া ছয় মামলায় ঘানি টানছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির। সেইসঙ্গে আট মামলায় অভিযুক্ত একজন, ১৮টি এবং ২২টি মামলায়ও অভিযুক্ত রয়েছেন দুইজন প্রার্থী।
হলফনামা অনুযায়ী, সিলেট-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রয়েছে ২২টি মামলা। এসব মামলার ১১টিতে খালাস, ১০টি বিচারাধীন ও একটি স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত।
এছাড়া সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে হলফনামায় উল্লেখ আছে।
প্রার্থীদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ মামলা সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদের বিরুদ্ধে। তার ওপরে চারটি মানহানিরসহ আটটি মামলা থাকলেও পাঁচটিতে খারিজ, একটিতে অব্যাহতি ও দু’টি বিচারাধীন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।
সিলেট-১ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১১ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। এগুলো তদন্তাধীন উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। এছাড়া এই আসনের মোহাম্মদ ফয়জুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে এক মামলা। যা তদন্তাধীন উল্লেখ আছে।
সিলেট-২ আসনের ১২ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন মামলায় অভিযুক্ত। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম. ইলিয়াস পত্নী তাহসীনা রুশদীর লুনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা থাকলেও খালাসে আছেন তিনি। এছাড়া একটি করে মামলা হয় খেলাফত মজলিসের মুনতাছির আলী, ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. মোশাহিদ খান, গণফোরামের মোকাব্বির খান ও মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে মোহাম্মদ আব্দুর রবের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা থাকলেও নিষ্পত্তি হয়।
সিলেট-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর ছয়জনই মামলার তথ্য দিয়েছেন হলফনামায়। এর মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আটটি মামলা দেখানো ছাড়াও একটি করে মামলার তথ্য দেন বিএনপির চেয়ারপারনের উপদেষ্ঠা এমএ হক, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল মতিন বাদশা, জাপার উছমান আলী, খেলাফত মজলিসের দিলওয়ার হোসাইন।
সিলেট-৪ আসনে আট প্রার্থীর চারজনই হলফনামায় মামলার তথ্য দেন। তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান ও এম ইসমাইল আলী আশিক।
সিলেট-৫ আসনে ১২ জনের মধ্যে কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা সংসদ সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী হলফনামায় একটি মামলার তথ্য দিয়েছেন।
সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী, বিএনপির হেলাল খান হোসেন খান হেলাল, জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ আব্দুর রকিব হলফনামায় মামলার তথ্য দেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, রোববার (০২ ডিসেম্বর) সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে গণফোরামের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট অংশ নিচ্ছে।
এছাড়া নিবন্ধিত ৩৯ দলের বাইরে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলাম, নাগরিক ঐক্য ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।