বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগ। আজ (শনিবার) সংস্থার এক জরুরী সভায় নেতৃবৃন্দ আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আউট সোর্সিং ব্যবস্থাপনায় পরিদর্শক (অ্যাটেনডেন্ট) নিয়োগ প্রদান করে যাত্রীদের দুর্ভোগ দূরীকরণের দাবি জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার সভাপতি হাবিবুল আলম।
সভায় বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থায় রেলপথই মানুষের শেষ ভরসা। দেশের বৃহত্তর পরিবহন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে পর্যাপ্ত অ্যাটেনডেন্টের অভাবে যাত্রীরা নানামুখী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যথাসময় চলাচল করছে। কিন্তু যাত্রীসেবার মান, ট্রেনে হিজড়াদের দাপট, ছিনতাই, টিকিট বিহীন যাত্রীসহ নানাবিধ সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ যাত্রীদের সমস্যার ক্ষেত্রে রেলওয়ের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়না।
অ্যাটেনডেন্ট প্রসঙ্গে সভায় বলা হয়, ১৫টি বগির একটি ট্রেন পরিচালনা করতে ২ শিফটে ১৫ জন করে ৩০ জন অ্যাটেনডেন্ট প্রয়োজন। সরকারীভাবে সবকিছু মিলিয়ে একজন অ্যাটেনডেন্টের মজুরি দাঁড়ায় ৬৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে একজন অ্যাটেনডেন্টের জন্য ব্যয় হবে ১৩ হাজার টাকা। সরকারী অ্যাটেনডেন্ট দ্বারা ১৫টি বগির একটি ট্রেন পরিচালনায় ব্যয় হয় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে আউটসোর্সিং ব্যবস্থায় খরচ হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে সরকারী অ্যাটেনডেন্ট দিয়ে বাড়তি ব্যয় সত্ত্বেও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সভায় অভিযোগ করা হয়, আন্তঃনগর ট্রেনে পর্যাপ্ত পরিদর্শক (অ্যাটেনডেন্ট) না থাকায় হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে ট্রেন ভ্রমণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন যাত্রীরা। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থার সহ-সভাপতি আহম্মদ ছোবহান, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম, যুগ্ম সম্পাদক নুর হোসেন জগলু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।