Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৬ পিএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। আজ (শনিবার) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দেয়া এ স্মারকলিপিতে উক্ত আসনে বিএনপির প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি কারাবন্দী ডা. শাহাদাত হোসেন, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার ও একরামুল করিম, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর রহমান চৌধুরী, ইদ্রিস আলী প্রমুখ। এ সময় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ধৈর্য সহকারে শুনেন। তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া স্মারকলিপির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবহিত করার আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, উন্নত দেশগুলো যখন কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে ফিরে যাচ্ছে, তখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি ছাড়াই তাড়াহুড়া করে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে প্রায় সব দলের নেতারা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছিলেন। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া হবে না। এ অবস্থায় দেশের জনগণকে ইভিএম সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন না করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া অনভিপ্রেত। ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি এবং চুরির সুযোগ রয়েছে। এই মেশিন হ্যাকিং প্রুফ নয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়া যায়।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এখানে ১৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ ভাগ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্টরা স্মার্ট কার্ড পাননি। এতে সন্দেহ রয়েছে, মানুষ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বুঝতে পেরে যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহণকারী কারাবন্দী বিএনপি নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-৯ আসনে আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ