রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
মুকসুদপুরের ননীক্ষীর ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে প্রচার-প্রচারণা চলছে। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ও মো. আসাদুজ্জামান মিনা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। ওই ৩ প্রার্থীর মধ্যে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আ.লীগের এ ঘাঁটিতে ৩ জনেরই বিজয়ের সমান সম্ভাবনা রয়েছে। মুকসুদপুরের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ননীক্ষীর ইউনিয়নে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে উপজেলাবাসীর আগ্রহের কমতি নেই। আগামী ৭ মে ৪র্থ ধাপে ওই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার জানিয়েছেন, মো. আসাদুজ্জামান মিনা বড় ব্যবসায়ী। তিনি সামাজিক কাজে মানুষের পাশে থেকেছেন। বিপদে আপদে দু’হাত খুলে টাকা খরচ করেছেন। দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। প্রার্থী হয়ে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. মুজিবুর রহমানকে বিপাকে ফেলেছেন। অবাধ নির্বাচন হলে ৩ জনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ৩ জনের যে কেউ বিজয়ের হাসি হাসতে পারেন। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান মিনা টাকার অভাব নেই। তিনি অকাতরে টাকা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। পার্শ্ববর্তী গোহালা ইউনিয়নের সিদ্দিক বাহিনীর সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তিনি আমাদের সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনি মিছিল, মিটিং ও সভা সমাবেশ করছেন। তিনি ননীক্ষীর ইউনিয়নে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। ওই দু’প্রার্থী নির্বাচনে টাকার দৌরাত্ব্যের অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান মিনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি প্রার্থী হয়েই চমক সৃষ্টি করেছি। এলাকায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। মানুষ নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারলে আমিই নির্বাচিত হবো। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল, মিটিং ও শোডাউন করছেন। আমি টাকা দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করছি না। এমনকি আমি বাইরে থেকে কোন লোক এনে তাদের সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছি না। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অফিস ও গাড়ি ভাংচুর করেছে। রাইচ মিলের গেট কুপিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।