বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আমেজ অনেকটাই জমে উঠেছে এখন মীরসরাইয়ে। আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর পক্ষের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে গণসংযোগে না নামলে ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘরে ঘরে কৌশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন অবিরাম। এতে করে গ্রামের হাটতলা, বটতলা, চায়ের দোকান, ঘরে বাহিরে সর্বত্র নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠেছে। বুধবার (২৮নভেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দানের পর আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর মাঝে উৎসবমুখর আমেজ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। বিএনপি প্রার্থীর কেউ উপজেলা পর্যায়ে জমা না দেয়ায় সেখানে বিএনপির কোন কর্মী সমর্থককে ও দেখা যায়নি। আবার ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন জমাদান নিয়ে নেতাকর্মীরা সেই পূর্বের মতো বহুভাগে এখনো বিভক্ত। প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর একক প্রার্থিতা নিশ্চিত হলে হয়তো এই অন্তঃদ্বদ্ধ মিটে আসে।
সম্প্রতি আমবাড়িয়া গ্রামে নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে কৌশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় কালে সকলের পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। এলাকার কোন ঘরে বেকার কেউ আছে কিনা তার তথ্য ও নিচ্ছিলেন। যেন পরস্পর পরমাত্মীয়তার নিবিড় বন্ধন। গ্রামের প্রবীণ কৃষক আবুল বশর বলেন অনেকদিন পর গ্রামের চা দোকানে এলাকার সবাই মিলে চায়ের আসরে ভোট নিয়ে বেশ সরব মন্তব্য শুনছিলাম। কেউ বলছে এলাকার অর্থনৈতিক জোন সহ সকল উন্নয়নে নৌকার প্রার্থীকেই বার বার দরকার। আবার বিএনপির এক সমর্থক ও মন্তব্য করছে এই সরকার গন মানুষের বন্ধু হলে ও ভিন্ন দলের প্রতি অধিক আক্রমণাত্মক। মামলা হামলায় আজ বিএনপি বিলুপ্তির পথে এমনটি উচিত নয় বলে বিএনপির সেই কর্মীর কথা ও আওয়ামীলীগের জনৈক সমর্থক উড়িয়ে না দিয়ে তিনি বলেন বিএনপি জামায়াত নাশকতাই যে করতে চায় শুধু। তাই হয়তো তাদের দমিয়ে রাখতে চায় সরকার।
সেই গ্রামেই শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন যখন দলমত নির্বিশেষে যখন সকলকে জড়িয়ে বুকে টেনে ভোট চাইতে শুরু করলেন তখন যেন সকল অভিমান মুছে গেল বিএনপি সমর্থকের ও। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ শুধু পুরুষদেরই টেনে টেনে বুকে জড়ালেন না। কোন নেতাকর্মীকে সাথে না নিয়ে একা একা গ্রামের প্রতিটি ঘরের দরজায় মা বোন কন্যা সমতুল্য সবাইকে ডেকে ডেকে এলাকার উন্নয়ন ও সম্ভাবনা এবং নৌকার জন্য ও তাঁর জন্য দোয়া চাইলেন। এভাবেই এক এক দিন এক এক গ্রামে শুভেচ্ছা বিনিময়ে নির্বাচনী আমেজ যেন কানায় কানায় জেগে উঠছে।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও ধানের শীষ নিয়ে আবেগময় অনেক ভোটারদের কাউকে এখনো ভোটের মাঠে ন্যুন্যতম ও দেখা মিলেনি অদ্যাবধি। তার অন্যতম কারণ বিএনপির একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান। ইতিমধ্যে বিএনপি ৪ প্রার্থীকে মনোনয়নের পত্র প্রদান করলে ও ৮ ডিসেম্বর ৩ জনকে প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। আর তখন কে বাদ পড়ে কে থাকে তাই কেউই এখনো পর্যন্ত নামছেন না ভোটের মাঠে। মনোনয়ন জমাদানকারীগন যথাক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান ( সাময়িক বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন, জাসাস উত্তর জেলা সেক্রেটারি শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ । এই ৪ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। ৮ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ প্রহর পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় এই প্রার্থীদের মধ্য থেকে কে থাকছেন সর্বশেষ প্রার্থী। আর তাই এই বিভ্রান্তির জন্য যেমন নির্বাচনী আমেজ ও পাচ্ছে না ধানের শীষের ভোটারদের মধ্যে।
এদিকে উপজেলার অন্যান্য দলের ও স্বতন্ত্র ৬ প্রার্থীকে এখনো পরিচিতি পর্বের জন্য এখনো মাঠে তৎপর দেখা না গেলে ও নির্বাচনী বিধি মোতাবেক সকলেই মাঠে শীঘ্রই সরব হবে বলে লক্ষণীয় । সব মিলিয়ে প্রার্থীদের শুভেচ্ছা বিনিময় এর তোড়জোড় আর চায়ের আড্ডা থেকে সর্বত্র মুখরিত আলোচনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।