বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ঘটছে নানা অঘটন। অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে। এর মধ্যে সবচে' আলোচিত অঘটন হচ্ছে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তির বিষয়টি নিজ দলসহ জনগণের কাছে অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছে। লায়ন হারুনুর রশিদ মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে না থাকায়।
লায়ন হারুনুর রশিদ বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজস্ব ও ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লায়ন হারুনকে বিএনপির ক্রাইসিস সময়কার এমপি বলা হয়। অর্থাৎ ওয়ান ইলেভেন ছিলো বিএনপির জন্যে মহাদুর্যোগকাল। ঐ দুর্যোগ সময়ের পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে বিএনপি-জামাত জোট মাত্র একটি আসনে বিজয়ী হয়। আর সে আসনটিই হচ্ছে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ)। পুরো জেলার একমাত্র বিজয়ী এ আসনের এমপি ছিলেন লায়ন হারুনুর রশিদ।
সে সময়ে সারাদেশে বিএনপির মাত্র দুই ডজন এমপির মধ্যে লায়ন হারুন ছিলেন একজন। সে কারনে অন্য এমপিদের সাথে বিএনপিতে তাঁর গুরুত্বটাই ছিলো অন্যরকম। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
কিন্তু ক্রাইসিস সময়কার এমপি এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুনুর রশিদ নিজ আসনেই এবার দলের মনোনয়ন পাওয়া একাধিকজনের মধ্যে ঠাঁই পাননি। রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা বড় অঘটন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সবার ধারণা ছিলো- চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে এম এ হান্নান ও কাজী রফিকুল ইসলামের সাথে লায়ন হারুনকেও মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু এম এ হান্নানের সাথে এমন আরো দু’জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যাদের ফরিদগঞ্জের রাজনীতিতে তেমন কোনো পরিচিতই নেই।
এদিকে লায়ন হারুন দলের মনোনয়ন না পাওয়ার পেছনে নানা মুখরোচক কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে হাটে-বাজারে। তবে এধরনের অঘটন সুষ্ঠু রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা ভালোভাবে দেখছেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।