রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গ্রাম-পুলিশ নিয়োগে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় দালালচক্রের প্রভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনাও লঙ্ঘন করা হয়েছে। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জেলার নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ আবদুল কাদির মিয়া চাকরিরত আবস্থায় মারা গেছেন। তার শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পরীক্ষা নেয়া হয়। এ পরীক্ষায় সরকারি ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা ছিল ‘গ্রাম পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে বা অবসর গ্রহণ করলে ওই শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি মোতাবেক উপযুক্ত বিবেচিত হলে তার যোগ্যপুত্র বা কন্যাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
সরকারের উপরোক্ত আদেশ প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও নিকলী উপজেলা প্রশাসন সরকারের এই বিধি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে মৃত আবদুল কাদেরের যোগ্যপুত্রকে বঞ্চিত করে স্থানীয় সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্য মো. মোখলেসকে গ্রাম পুলিশের শূন্যপদে নিয়োগ দেয়। এমনকি নিয়োগ পাওয়া মোখলেসের শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকলেও নিয়োগ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয় মোখলেস। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী ই আর খান ও গ্রাম পুলিশের দফাদার নাজমুল ও সদস্য সেলিম অনুচিত ভ‚মিকা রেখেছেন। নিয়োগ পাওয়া মোখলেসের পিতা মতি মেম্বার চট্টগ্রাম ডবল মুরিং মডেল থানায় পুলিশের উপর হামলা চালানোর মামলায় অভিযুক্ত এবং চট্টগ্রাম ছেড়ে নিজ এলাকায় পালিয়ে এসেছে ঘটনার পর থেকেই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রাম পুলিশের শূন্য পদে নিয়োগ পেতে মৃত আবদুল কাদিরের পুত্র রায়হান আহমেদ ছিল শতভাগ যোগ্য। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি, উচ্চতা পাঁচ ফুট আড়াই এবং বুকের মাপ ৩৪ ইঞ্চি। অথচ নিয়োগ পাওয়া মোখলেসের বুকের মাপ মাত্র ২৯ ইঞ্চি। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী এবং উচ্চতা পাঁচ ফুট দেড় ইঞ্চি। প্রার্থী যোগ্যতায় অনেক পিছিয়ে থেকেও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোখলেসকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়োগ দিয়ে অধিকতর যোগ্যপ্রার্থী রায়হান আহমেদকে বঞ্চিত করায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃত আবদুর কাদির মিয়ার ৯ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো সদস্য না থাকায় পরিবারটি মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এমনকি ভ‚মিহীন হিসেবে আবদুল কাদিরের পাওয়া জমিটুকুও এখন বেদখলে রয়েছে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ না করার হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। চলতি মাসে (২০ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পিতার শূন্য পদে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন আবদুল কাদিরের পুত্র রায়হান আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।