Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক শক্তিশালী করার তাগিদ

প্রেসিডেন্টের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মিলার বঙ্গভবনে যান।
রীতি অনুযায়ী বঙ্গভবনে গিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া পরিচয়পত্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে জমা দেন। রাজকীয় আয়োজনে সেখানে তাকে বরণ করা হয়।
মার্কিন দূতাবাস জানায়, পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। বঙ্গভবনের আয়োজনে তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগন তথা এ অঞ্চল এবং বিশ্ব স¤প্রদায়ের স্বার্থেই দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্কের তাগিদ দিয়েছেন রবার্ট মিলার।
এদিকে, বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবদুল হামিদ রাষ্ট্রদূতকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স¤প্রসারণে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহŸান জানিয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে এই সম্পর্ক আরও স¤প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ।
এর আগে নতুন মার্কিন দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
দায়িত্ব নিতে গত ১৮ই নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছান মার্কিন কূটনীতিক রবার্ট মিলার। তার আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সিনেটে তার শপথ হয়। ওয়াশিংটনের ওই শপথ অনুষ্ঠানে ঢাকার সদ্য সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা ও উইলিয়াম বি মাইলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
গত জুলাই মাসে পেশাদার কূটনীতিক আর্ল রবার্ট মিলারকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত নিয়োগের কথা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। ১১ই অক্টোবর মার্কিন সিনেট তার নিয়োগ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। ওই সময়ে তিনি বাতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আর্ল রবার্ট মিলার ১৯৮৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যোগ দেন। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মার্কিন কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কপস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী মিলার কর্মজীবনের সূচনাতে (১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত) মার্কিন মেরিন কোরে অফিসার এবং পরবর্তীতে (১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত) মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
রবার্ট আর্ল মিলার গত ১৮ নভেম্বর ঢাকায় আসার পর ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানও পরিদর্শন করেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রায় চার বছর ঢাকায় দায়িত্ব পালন শেষে গত ২ নভেম্বর বিদায় নেন মার্শা বার্নিকাট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ