Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারের ৪টি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন যারা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:২৫ পিএম | আপডেট : ৬:১২ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

২৮ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনেও কক্সবাজার জেলার ৪টি আসনে দেখাগেছে মনোনয়ন চমক। তফসীল ঘোষণার পর থেকে সকাল-সন্ধা নতুন নতুন খবরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখাযাচ্ছিল ক্ষণে ক্ষণে হতাশা ও উল্লাস। তবে মনোনয়ন পত্র জমাদেয়ার শেষ দিনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রথম ধাক্কার কাজ শেষ হলেও
প্রত্যাহার পর্যন্ত চুড়ান্ত খবরের আশায় অপেক্ষা করছেন কক্সবাজারের রাজনীতি সচেতন মানুষ।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ৫ জন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন দুইজন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেয়ে বুধবার (২৮) নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন এবং সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে ৭জন প্রার্থী স্ব স্ব মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন পত্র জমা দেন ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এডভোকেট হাসিনা আহমদ, নৌকা প্রতীকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, হাতুড়ী প্রতীকে ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা হাজী বশিরুল আলম ও হারিকেন প্রতীকে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) থেকে ফয়সাল চৌধুরী।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএমচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের মেয়ে তানিয়া আফরিন জাফর। এদের মধ্যে ৬জন ২৮ নভেম্বর জমা দিলেও বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ জমা দিয়েছেন ২৭নভেম্বর।

কক্সবাজার-২ (মহেশকালী- কুতুবদিয়া) আসনে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি আশেক উল্লাহ রফিক দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকার পক্ষে মনোনয়ন পত্র জমাদেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে এখানে স্বতন্ত্রভাব মনোনয়ন পত্র জমাদেন আওয়ামী লীগ নেতা ড. আনছারুল করিম।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট এখানে মনোনয়ন দিয়েছে যৌথভাবে সাবেক এমপি ও আশেক উল্লাহ রফিকের চাচা বিএনপি নেতা আলমগীর মাহফুজুল্লাহ ফরিদ ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদকে।
তারা দু-জনই মনোনয়ন পত্র জমাদিয়েছেন।

জানাগেছে, আসনটি জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ভাগে পড়ে। তাই বিএনপি এই আসনে ধানের শীষের পক্ষে জামায়াত নেতা হামিদ আযাদকে মনোনয়ন দেয়। মামলার কারণে হামিদ আযাদ নির্বাচন করতে না পারলে তখন আলমগীর ফরিদই হবেন এ আসনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট বা বিএনপির প্রার্থী। আলমগীর ফরিদ ও আশেকুল্লাহ রফিক সম্পর্কে চাচা ভাইপু হওয়ায়
হামিদ আযাদ নির্বাচন করতে না পারলে
এখানে মহাজোট প্রার্থীও পরিবর্তন হতে পারে বলে একটি সূত্রে আবাস পাওয়াগেছে।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে মহাজোটের প্রার্থী মনোনয়নে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে চুড়ান্ত করা হয়। জাপা নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলুকে এখানে মহাজোট প্রার্থী করা হলে কমল সমর্থকরা রামু-কক্সবাজারের রাস্তা ঘাটে কলাগাছ রোপন করে বাবলু ঠেকাও আন্দোলন করে। এতে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। কমলকে চুড়ান্ত করে প্রার্থী হিসেবে। তিনি এলাকায় বড় শোডাউন করে মনোনয়ন পত্র জমাদেন।

এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বিএনপির প্রার্থী। তিনি বড় শোডাউন করে মনোনয়ন পত্র জমাদিয়েছেন শেষ দিনে।
বিএনপির অন্য সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামানও দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও শেস মুহুর্তে নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন পত্র নয়া হয়নি।

সম্প্রতি কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান
জিএম রহিমুল্লাহর আকস্মিক ইন্তেকালে সদর রামুর সর্বস্তরের নারী পুরুষের মাঝে দেখাগেছে অভূতপূর্ব আবেগ। জিএম রহিমুল্লাহর জানাযার নামাজে আচঁ করাগেছে জামায়াতের প্রতি মানুষের সেই ভালবাসা ও আবেগের কথা।

জনগণের এই ভালবাসা ও আবেগকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর-রামু আসনে সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান এড. সলিম উল্লাহ বাহাদুরকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে জামায়াত নতুন এক চমক দেখাতে চাইলেও শেষ মুহুর্তে তা হয়নি।

তবে হামিদ আযাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় জামায়াত নেতা-কর্মীরা জেলা সদরে ব্যাপক শোডাউন করে।

এছাড়াও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া- টেকনাফ) আসনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী চার বারের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ এর নৌকার প্রার্থী এমপি বদির বউ শাহীন চৌধুরী মনোনয়ন পত্র জমাদেন।
এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মাষ্টার আবুল নঞ্জুর ও উখিয়া পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমাদেন।



 

Show all comments
  • আবদুর রহীম ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৪৩ পিএম says : 0
    ইসলামী আন্দোলন নাই
    Total Reply(0) Reply
  • ইউনুছ ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:০৪ পিএম says : 0
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম কেন দেওয়া হয়নি।
    Total Reply(0) Reply
  • করিম বিন জলিল ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:০৫ পিএম says : 0
    কে সেই "বিশেষ সংবাদ দাতা" যে একচোখে সবকিছু দেখার চেষ্টা করে ৷ চার আসনের সব প্রার্থীর নাম-খবর তার কাছে থাকলেও লিখার সময় .. সম্পূর্ণ বাদ দিয়েছে ৷ কেন? কেন? যদি বলেন তার ভুল হয়েছে , তাহলে শুনুন যে এতবড় একটি ভুল করে তার এই কাজের যোগ্যতা নেই ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ