বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের ডেকে একাদশ নির্বাচনের আগে নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করেও পাবনা-২ নির্বাচনী আসনটি ঠেকিয়ে রাখতে পারলেন বর্তমান এম.পি আজিজুর রহমান আরজু। ধনাঢ্য এই ব্যক্তি প্রচার-প্রচারণা এবং কেন্দ্রে লবিং করেও আসনটি পাননি। এই আসনে একাদশ নির্বাচনে আ’লীগ চূড়ান্তভাবে নাম ঘোষণা করেছেন, সাবেক এম.পি মরহুম তফিজ মাষ্টারের পুত্র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ কবীরকে এবং বিএনপি খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে এই আসনের সাবেক বিএনপি’র এম.পি এ্যাড. এ.কে সেলিম রেজা হাবিবের নাম। পূর্বে এই আসনের এম.পি ছিলেন, এয়ার ভাইস মার্শল (অব:) এ.কে খন্দকার। তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে তিনি একই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামীলীগ তাঁকে পাবনা -২(সুজানগর-বেড়ার আংশিক আসনে) মনোনয়ন দিলে তিনি এম.পি নির্বাচিত হন। তিনি বই লিখে আওয়ামীলীগের বিরাগভাজনে পরিনত হন। এই আসনেও নির্বাচনী পালা বদল রয়েছে। আশির দশকে বিএনপি’র এম.পি ছিলেন, রশিদ মির্জা, এরপর ৯০ দশকে বিএনপি’র ওজি খান এম.পি নির্বাচিত হন। আ’লীগের মো: তফিজ মাষ্টার, উপনির্বাচনে আ’লীগের ডা: মাজাহার আলী কাদেরী, আ’লীগের এ.কে খন্দকার, বিএনপি’র সেলিম রেজা হাবিব। এই আসনে কখনও আওয়ামীলীগ আবার কখনও বিএনপি’র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। পাবনা সদর আসনের মত জটিল নির্বাচনী সমীকরণ এই আসনে না থাকলেও এই সময়ে হঠাৎ বর্তমান এম.পি আজিজুর রহমান আরজুর পরিবর্তন চাইছিলেন স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামীলীগ । তাঁরা ফিরোজ কবীর অথবা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের নেতা মির্জা জলিলের পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এই প্রতিবেদক একাদশ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে এই এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মনোভাব বুঝতে পারেন। এই আসনে আ’লীগের প্রার্থীর পরির্বতন চাইছেন তাঁরা। এবারও মির্জা জলিলের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হল না। পাবনা-২ নির্বাচনী আসনে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের সম্মান রক্ষার লড়াই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।