বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানান জল্পনা কল্পনার শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি হলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে রবিবার সকালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় মনোনয়নপত্র বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের কাছে প্রদান করেন।
বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে নাসিরনগরে আনন্দ মিছিল বের হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নিবাচর্নী আমেজ। ১৩ জন প্রার্থী আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এরপর আওয়ামীলীগের পালামেন্টরি বোর্ড চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর)শূন্য আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক এমপির মুত্যৃতে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনের উপ-নির্বাচনে আ‘লীগ প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম(নৌকা)বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ৬ মাস যেতে না যেতেই আবার একাদশ সংসদ নিবার্চন।
জাতীয় একাদশ সংসদ নিবার্চন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে শুরু হয় প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। ১৩ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে দৌড়ে এগিয়ে যান বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। শেষ পর্যন্ত নৌকার মাঝি হিসেবে তিনিই মনোনীত হলেন। তিনি দলীয় মননয়ন পাওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল,মিষ্টি বিতরণসহ মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
জানা যায়,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফখরুল হোসেন ও আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক মরহুম ফেরদৌস আরা বেগম রুনুর ঘরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জন্ম নেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই শিশুটির নাম রেখেছিলেন সংগ্রাম।
কৈশরকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের পতাকা তলে রাজপথে নেমেছেন। তিনি হলেন বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলার গুনিয়াউক গ্রামের বড় বাড়িতে তার জন্ম। বাবা-মা দু’জনেই ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।বাবা ফকরুল হোসেন একদিকে যেমন মুক্তিযোদ্ধা আবার ছিলেন সাবেক পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় রেডক্রস সোসাইটির সেক্রেটারি।সংগ্রামের মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ও সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ। যাদের আদর্শ ও অনুপ্রেরণা ছিল তার রাজনৈতিক পথচলার পাথেয়। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের জীবন থেকেই যোগ দেন ছাত্রলীগে। ১৯৯৩-৯৪ সালে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৩ সালে মনোনীত হন ছাত্রলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য পদে।পরের বছর ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে জায়গা করে নেন সদস্য হিসেবে। এরপর ১৯৮৮ সালে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক,২০০২-২০০৬ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।ফরহাদ হোসেন ১৯৮৮ সালে এস এস সি পাশ ও ১৯৯০ সালে এইচএসসি, ৯৪ সালে স্নাতক এবং ৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপর ২০১৪ সালে এলএল বি ও ২০১৬ সালে এল এল এম ডিগ্রি লাভ করেন।বর্তমানে তিনি আমদনীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,জাতীয় সংসদের ২৪৩নং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় আসনে ভোটার ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯শ’ ৭০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১০ হাজার ৪‘শ ৪৭ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫‘শ ২৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।