পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া কোরিয়া প্রবাসী পিএইচডি গবেষক এনামুল হক মনির (৩০) খোঁজ মিলেছে। র্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে বলে এনামুলের পরিবার জানিয়েছে। এদিকে, গতকাল এনামুল হক নামে এক যুবককে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র্যাব নিজেই। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের আদলে ওয়েবসাইট তৈরি করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বুধবার রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে ‘অপহরণের’ শিকার হয়েছিলেন এনামুল।
র্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, শনিবার দুপুরে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনামুল দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে বিবিসি, প্রথম আলো ও বিভিন্ন অনলাইনসহ ২২টি নিউজ পোর্টালের নকল করে পরিচালনা করতেন। বেশিরভাগ সময় হুবহু কপি করে নিউজ দিলেও মাঝে-মধ্যে নিজের ইচ্ছেমতো সরকারবিরোধী লেখা সে সব সাইটে প্রচার করতেন। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এনামুলের বড় ভাই কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে দক্ষিণখান থানা থেকে কল করে তার ছোট ভাইয়ের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, র্যাবের একটি দল তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে বলে থানা থেকে তাদেরকে জানিয়েছে। পরে তারা র্যাবের সাথে যোগাযোগ করে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মাসুদ আরও বলেন, এনামুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিওংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (কেএনইউ) পিএইচডি করছে। অক্টোবরে এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে বেড়াতে আসে এনামুল। গত বুধবার গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে জামালপুরে শ্বশুরবাড়িতে যায়। ওইদিনই ঢাকায় এসে আশকোনা এলাকায় এক বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বাসায় ওঠে। বুধবার রাত ১টার প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার কোরিয়া যাওয়ার কথা ছিল। আশকোনার বাসা থেকে রাত ১০টার দিকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১১টা পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পেলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপহরণকারী’ পরিচয়ে এনামুলের স্ত্রীল কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেওয়া ৪টি নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠানো হয়। এরপরেও তার খোঁজ ছিল না। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।