বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে অর্থনৈতিক অগ্রসর দ্রুতই বাড়ছে। একইসঙ্গে অপরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য দেশে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা যথাযথভাবে গ্রহণের মাধ্যমে এ অবস্থার দ্রুত উন্নতি সম্ভব। কিন্তু যথাযথ নীতি ও আইন প্রয়োগ না হওয়ায় পরিকল্পনার কাক্সিক্ষত প্রসার এখনও সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঞ্চলিক ভারসাম্যের অভাব উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক বিআইপির প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’র (বিআইপি) পক্ষ থেকে দেশের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। ইনস্টিটিউটের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. একেএম আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি’র পক্ষে প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপন করেন পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান। পরিকল্পিত উন্নয়নে সামগ্রিক পদক্ষেপ, দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা, অধিক জন-ঘনত্ব এবং অধিক জনসংখ্যা বাড়ার কারণে এদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতি বছর দেশে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমি অপরিকল্পিতভাবে অকৃষিজ খাতে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।
একদিকে যেমন শিল্পায়ন প্রয়োজন অন্যদিকে দেশের বনাঞ্চল, জলাভূমি, হাওড়, বিল, পাহাড়ের ন্যায় সংবেদনশীল এলাকা সংরক্ষণও দরকার। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে সারাদেশের ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পিত উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই। পরিবহন ও যাতায়াত— নগর জীবনে যানজট একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বৃহৎ নগরগুলোতে এর প্রকোপ অধিক মাত্রায় বিরাজমান। এজন্য বহুমাত্রিক গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পথচারীবান্ধব সুবিধা তৈরী ও বাসভিত্তিক ব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। জলপথ ও রেলপথ ব্যবহারের সুযোগকেও প্রাধান্য দিতে হবে।
পরিবহন খাতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। পরিবহন খাতে এ দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। পরিবহন অবকাঠামোর সুপরিকল্পিত উন্নয়নের পাশাপাশি সকল পরিবহন চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়াসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।