বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাঠ রাজনীতিতে ভোটের হাওয়া এখন তুঙ্গে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে দৃশ্যপট। গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমের চারিদিকে রাতদিন সমানতালে ভোট নিয়ে আলোচনা আড্ডা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অতিমাত্রায় সরব। এ অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসন এলাকা জুড়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সবাই মাতোয়ারা। শীতের ঝিরঝিরে বাতাসে সকাল থেকে রাতঅবধি শহর গ্রাম পাড়া মহল্লায় মাঠে-ঘাটে চলছে জোর ভোটের আলোচনা। সবারই মূল প্রশ্ন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সব দলের সমান সুযোগে নির্বাচন হবে কিনা। আসনভিত্তিক কে, কোথায় প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চ‚ড়ান্ত প্রার্থিতার দিকে সবার নজর বেশি।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমের ১০ জেলায় আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফন্ট, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জেএসডিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তত দেড় শতাধিক প্রার্থী ভোট রাজনীতির মাঠে আছেন। তারা কেন্দ্রে ও মাঠে সমানতালে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তবে মনোনয়নকে ঘিরে দুই দলে বেশিরভাগ আসনেই দ্ব›দ্ব, কোন্দল, গ্রুপিং প্রকট। তবে তুলনামূলক দ্ব›দ্ব বিএনপিতে কম। কারণ তারা মামলায় জর্জরিত হয়ে এমনিতেই রয়েছে দৌড়ের ওপর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রায় সবাই এবারও মাঠে রয়েছেন, সংগ্রহ করেছেন মনোনয়নপত্র। অবশ্য তাদের বিপরীতে একাধিক মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। ভোটযুদ্ধের আগে চলছে তাদের মনোনয়নযুদ্ধ। দলীয় প্রার্থী ছাড়া আ.লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবং বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আসন ভাগাভাগি কেমন হয় সেটি নিয়েও দৃষ্টি রয়েছে দলীয় নেতা ও কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নবম সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিমের ৩৬টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতেই আ.লীগসহ মহাজোটকে উপহার দিলেও তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অনেকাংশেই ব্যর্থ। দশম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনে সব আসন আওয়ামীগসহ মহাজোট পায়। গেলবারের একতরফা নির্বাচনে এমপি হওয়ার সুযোগে অনেকেই লাগামহীন কর্মকান্ড চালিয়েছেন। যাতে তারা হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকের বিরুদ্ধে আখের গোছানোর অভিযোগ প্রবল। তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য, এবারের নির্বাচন হবে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ। তাই যেসব এমপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে যাদের জনপ্রিয়তা আছে, দলের স্বার্থে নিবেদিত এবং পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা তাদের মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে কেন্দ্র থেকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের মতো বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থিতা নিয়ে দ্ব›দ্ব কম হওয়ায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, হামলা, মামলা, প্রশাসনিক হয়রানি, জেল-জুলুম-হুলিয়ায় এতদিন অনেকটা চুপ থাকলেও এখন রীতিমতো গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন সবাই। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং সব দলের সমান সুযোগ পাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।