Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘শরনার্থীদের চেয়েও বাংলাদেশের হিন্দুরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৩২ পিএম

সমগ্র বাংলাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধু-সন্ন্যাসী ও মঠ মন্দিরে হামলা এবং নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি দখলের প্রতিযোগিতা চলছে উল্লেখ করে শুক্রবার নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে অত্যাচারী, নির্যাতনকারী মহল এতটাই প্রভাবশালী যে রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঐ সকল মহলের কাছে যেন অসহায়। তাইতো সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, জায়গা জমি জোরপূর্বক বেদখল করলে ও সংখ্যালঘুরা কোন প্রতিকার পায় না। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেনবাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, চট্টগ্রাম। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আশুতোষ দত্ত নান্টু।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচারী ও নির্যাতনকারী মহল দিনে দিনে আরো বেশী দুর্ধর্ষ ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তাদেরকে কঠোরহস্তে দমন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ অবমুক্তির মামলায় কোন হিন্দু সুবিচার পাচ্ছে না। বরং অনেকে ভিটেছাড়া হয়ে দেশান্তরিত হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের সনাতন হিন্দু সমাজ এই দেশেরই ভূমিপুত্র। তবুও হিন্দুরা যেন আজ আপনগৃহে পরবাসী। শরনার্থীদের চেয়েও বাংলাদেশের হিন্দুরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। একটি পক্ষ মনে করে সংখ্যালঘুদের সমর্থন তুলে নেওয়ায় নির্বাচনে তাদের হারের কারণ, আবার অপরপক্ষ মনে করেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করলে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের প্রিয়পাত্র হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও এদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য কমপক্ষে ৬০টি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত, শারদাঞ্জলী ফোরামের সভাপতি মাস্টার অজিত কুমার শীল, শ্রীমৎ সূর্য্যানন্দ ব্রহ্মচারী, মানবাধিকার সংগঠক অজিত কুমার দাশ, অধ্যক্ষ হরি নারায়ণ ভট্টাচার্য, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, এড. সুমন আচার্য, এড. উজ্জ্বল কান্তি দাশ, এড. শিবু মজুমদার, সাংবাদিক সমীরণ পাল, জহর লাল চক্রবর্তী, ডা. সুমন কান্তি দাশ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:২১ পিএম says : 0
    Eaideshe kisu hindu neta otironjito kore banowat golpo banai.eai 92% mosolmaner deshe hindura prai 25% shorkari protoshtane boro korta sheje boshe asen,abar bivinno shorkari beshorkari protishtane prai 20% chakori kortesen,eai desher manush dhorme shohonshil ar ta na hole varote je hare mosolmander opor ottachar choltese bjp o shibshena ebong onnano hindu ogro shongghotoner dara,etodine eaideshe hinduder ostitto paowa jetona. kintu amra eaita kokhonoy hoyte debona.jehetu eaita Islameo nishiddo.jara amader eai desher nagorik eaidesher biroddhe shorojontro korena tara amader vai.Amar prosno eai shob hindu netara eaishob ojoktik dabi utthapon kore eadeshtake ki shibshenar rajatto kaem korte chan?
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmud ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৮ পিএম says : 0
    রাজনৈতিক কারনে দেশে সংখ্যালঘুরা কিছুটা নির্জাতিত হয়, তবে তা ইন্ডিয়ায় মুসলমানদের নির্জাতিত হওয়া থেকে খুবই কিঞ্চিত। দেশে ও ভারতে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। দেশে সমাজে, অফিসে, হাটে বাজারে,শিক্ষা, চাকুরি, চিকিৎসা কোথাও হিন্দু-মুসলিম বিভেদ নাই। কিন্তু ভারতের মুসলমানেরা সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত। গ্লোবাল ভিলেজে আর কিছুই গোঁপন থাকে না। দেখুন আজকের রিপোর্টঃ http://m.dailyinqilab.com/article/167541/ধর্মীয়-স্বাধীনতা-খর্বের-প্রথম-সারিতে-ভারত-চিন
    Total Reply(0) Reply
  • সবুক্তগীন আহমেদ নিরব ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৪৮ পিএম says : 0
    এটা সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক একটা প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটির কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কারণ বাংলাদেশে মুসলমানদের থেকে হিন্দুরা অনেক বেশি সুখে-শান্তিতে আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশের হিন্দু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ