বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট (দক্ষিণসুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ)-৩ আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। কর্মী বান্ধব কাইয়ুম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয়ও। সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন গভীরভাবে। মাঠ রাজনীতিতে পরীক্ষিত হওয়ায় তার সাথে দলের নেতাকর্মীদের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। একই সাথে বলমান, সাহসী, দাপুটে হওয়ায় নেতাকর্মীরা তাকে পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে থাকে। বিগত সময়ে এই আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী শফি আহমদ চৌধুরী। মাঠ রাজনীতিতে তার কোন অভিজ্ঞতা নেই। রাজকীয় মানসিকতায় মোহাবিষ্ট শফি চৌধুরী, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সাথে একাকার হতে পারেননি। রাজপথে উদ্যমী হওয়ার সুযোগও নেই তার। এই পথে বাধা ব্যবসা, বয়স, মানসিক শক্তি। সময়ের ব্যবধানে রাজপথের সাথে সম্পর্কিত রাজনীতিকদের বিকল্প নেই। প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা, রাজনীতিক চিন্তা চেতনার পাশাপাশি উদ্যমী। কর্মীদের সাথে যোগাযোগে তারা এগিয়ে। সেই বিবেচনায় দলের রাজনীতি ও রাজপথে কর্মীদের নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে কাইয়ুম চৌধুরী একটি ব্যান্ড। প্রতিপক্ষ রাজনীতি দলও তাকে সমীহ করে। তার রাজনীতিক অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্ক স্বীকৃত। নেতাকর্মীদের ধারনা টাকার জোরে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন শফি চৌধুরী। বিগত সময়ে সেরকম ট্র্যাডিশন বিএনপি নিয়ে ছিল। কিন্তু টাকার জোরে টিকিট বাগিয়ে নিয়ে এমপি হলেও রাজপথের রাজনীতিতে চরম মূল্য দিতে হয়, সেই হিসেব হাড়ে হাড়ে ঢের পেয়েছে বিএনপি। নেতৃত্ব শূন্যতায় দেশের আন্দোলন সংগ্রামের সূচিকাগার সিলেট মাঠ রাজনীতিতে দাড়াঁতেই পারেনি দলটি।
দেখা গেছে, দলের নেতৃত্বশীল বেশিরভাগ নেতাই ব্যবসায়িক। রাজনীতি তাদের ক্ষমতার অলংকার। টাকার জোরে পদ পদবী নিয়ে তারা কোন রকম ফটোসেশন করেই সময় পার করেছেন। দিনে রাজপথে দায়সারা গোছে, রাতে ব্যস্ত শাসক দলের নেতাদের সাথে ব্যবসায়িক হিসেব নিকেশে। এ নিয়ে নিবেদিত নেতাকর্মীদের সাথে বিরোধও দেখা দেয়। কিন্তু ব্যবসায়িক-রাজনীতিক নেতাদের টাকার জোরে হাত-পা অনেক বিস্তৃত। তারা নিজদের ধরে রাখতে প্রকৃত রাজনীতিকদের কোনঠাসা করে রাখে। এহেন অবস্থায় রাজনীতি ও দিন বদলের জন্য মনোনয়নে মুলত রাজনীতিকদের মূল্যায়ন চায়। কারন এতে করে দল ও রাজনীতির ভিত্তি মজবুত হবে। প্রতিপক্ষ রাজনীতিক দল আওয়ামীলীগের নেতারা বেশিরভাগই রাজনীতিক পরিপক্ষ ও কূটকৌশলী।
দিনের বেশিরভাগই সময় অতিবাহিত করেন রাজনীতিতে । ধ্যান জ্ঞান চেতনায় তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই বিবেচনায় বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই ব্যবসার ধান্ধ্যায় ব্যস্ত। রাজনীতিক মানসকিতার চেয়ে পদ অলংকিত করাই তাদের টার্গেট। সুযোগ আছে বলেই সেরকম প্রতিযোগিতা তৎপরতা চালায় পদ পদবী ও নির্বাচনী মনোনয়ন যুদ্ধে তারা। সময়ের ব্যবধানে ও বাস্তবিক কঠিন রাজনীতিতে বিএনপিতে রাজনীতিকদের অংশগ্রহন নিশ্চিত দেখতে চায় দলের তৃণমুল নেতাকর্মীরা। বিগত ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে বিজয়ী বেশির ভাগ এমপিরা পরবর্তীতে রাজপথ ছেড়ে চলে গেছেন ঘরে। শাসক দলের সাথে ব্যবসায়িক সর্ম্পক তৈরী করে থেকেছেন বহাল তবিয়তে। কিন্তু সরকার বিরোধী কোন তাপ তাদের শরীরে আচঁড় কাটেনি। অথচ সাধারন কর্মী সমর্থকরা মামলার পাহাড়ে দিশেহারা হয়ে উঠে। চরম বিপদে সেই এমপিরা তাদের পাশে দাড়াঁনোর চেষ্টা পর্যন্ত করেননি। এতে করে নেতাকর্মীদের মধ্যে উপলব্ধি হয় রাজনীতিক নেতৃত্বের বাস্তবতা। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে সেই পুরানো দিনের মতো আবার ব্যবসায়িক সুবিধাভোগীরা বিএনপির টিকিট যুদ্ধে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন। কোনটাসা করতে চাইছে মাঠ রাজনীতিতে পরিক্ষিত রাজপথের নেতাদের। সিলেটের ৬ টি আসনের মধ্যে সিলেট প্রায় আসনেও এরকম অবস্থা দৃশ্যমান। বিপুল কর্মী সমর্থক ও ধানের শীষে উর্বর এই আসনগুলোতে ব্যবসায়িক ব্যক্তি মনোনয়ন লাভে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। এছাড়া একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রবাসে বসবাসকারী। তাদের সাথে কর্মী সমর্থকের কোন সর্ম্পক নেই। সরকার বিরোধী মামলা বা হয়রানী তারা স্বপ্ন্ওে কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু সুদিনে ধানের শীষ বগলদাবা করতে তারা মরিয়া। দুরে থেকে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করা অশুভ এ প্রতিযোগিতার বিপরীতে রাজপথে কর্মী বান্ধব নেতা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি দলের শীষ পর্যায়ে রাজনীতির বিস্তর অভিজ্ঞতা তার। সিলেট-৩ আসনে প্রতিটি ওয়ার্ডের কর্মী সমর্থকের সাথে রয়েছে তার গ্রহনযোগ্য আস্থাশীল সর্ম্পক। চরম বিপদের সময়ও খোজ খবর নিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন নেতাকর্মীদের। কারন রাজনীতিতেই তার বর্তমান ও ভবিষ্যত। নেতাকর্মীরাও তার প্রতি আস্থাশীল। সেকারনে তার কর্মী বান্ধব সর্ম্পক থাকায় তাকে প্রত্যাশা করছে দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া দেশের ইতিহাসের সফল জনবান্ধব অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এর মধ্যে দিয়ে দেশ ও আন্তর্জাতিক অংগনে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সমর্থ হন তিনি। একজন মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিকের জন্য বিষয়টি গৌরবের ও সৌভাগ্যের। স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনীতির বাস্তব অভিজ্ঞতাও রয়েছে কাইয়ুম চৌধুরীর। এতে করে নেতাকর্মী ও দলকে পথ দেখাতে পারবেন তিনি সচেতন রাজনীতিকরাও তাই মনে করেন। কাইয়ুম চৌধুরীকে নিয়ে বড় মানের ধারনা রয়েছে দলে নেতাকর্মীদের মধ্যে। এই মুর্হূতে বিএনপি রাজনীতিতে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ্ও অনুপ্রেরণা নেওয়া যাবে এগিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের। সিলেটের এই মাপের শীষ রাজনীতিক নেই বিএনপিতে। বিজ্ঞ রাজনীতিকরা মনে করেন, কাইয়ুম চৌধুরী সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো মেধা রয়েছে। যা বিএনরি রাজনীতি তথা সিলেট বিএনপির জন্য দরকার। সিলেট ৩ আসনে দলের মনোনয়ন একজন রাজনীতিক হিসেবে কাইয়ুম চৌধুরীর পেলে অবশ্যই ধানের শীষের বিজয় সম্ভব। সেই সাথে দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য আসনগুলোতে। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন ও রাজনীতির বিজয় ঘটবে সিলেট বিএনপির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।