বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাহুমুক্ত হচ্ছে না বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়। পদবাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের তীব্র সমালোচনার টনক নড়াতে পারছে না এই কার্যালয়ের শক্তিশালী সিন্ডিকেটকে। এবার দলীয় চেয়ারপার্সনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের ভোটের ফলাফল গায়েব করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ভোটের মধ্যে চলতি ইউনিয়র পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে তার ফলাফল কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে মনোনয়নতো দেয়াই হয়নি সে ফাইল পর্যন্ত গায়েব করা হয়েছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ গত ১ মে গুলশান কার্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দলিল সমেত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৭ ইউনিয়ন নিয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় একটি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বাকি ৬ ইউনিয়নে দলীয় একক প্রার্থী মনোনীত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উপজেলার পাররামরামপুরে দুই প্রার্থী এমদাদুল হক মিলন ও আমিনুল ইসলাম পরস্পরের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা নেতৃবৃন্দ ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করেন। ৯ ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মোট ২৭ ভোটারের ২৬ জন অংশ নেয়। তাতে এমদাদুল হক মিলন পান ১৭ ভোট এবং আমিনূল ইসলাম পায় ৯ ভোট। গত ২৮ এপ্রিল এই ফলাফল সমেত তথ্যাবলী উপজেলা বিএনপির মতামত পাঠানো হয় গুলশান কার্যালয়ে। ২৯ এপ্রিল দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে গেলে দেখা যায় পরাজিত আমিনুলকেই মনোনীত করেছে গুলশান কার্যালয। কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান দলের চেয়ারপার্সনের বরাদ দিয়ে জানান ওই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাইয়ূম-এর পছন্দে একটি মনোনয়ন (পাররামরামপুর ইউনিয়ন) দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে বাকবিতÐার ঘটনাও ঘটে।
খালেদা জিয়ার কাছে দেওয়া অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত বা ফলাফল গুলশান কার্যালয়ে পাল্টানো হয়েছে। উপজেলার নেতাদের পাঠানো ফাইলও চেয়ারপার্সনকে না দিয়ে গায়েব করা হয়েছে। তৃণমূলের মতামতের বহি:প্রকাশ ঘটানোসহ অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
এর আগে একই ধরনের অভিযোগ উঠে খুলনা থেকে। দলের মহাসচিবের অভিযোগ কাছে এলে তিনি তা খতিয়ে দেখেন এবং তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী পরিবর্তনের ব্যবস্থা করেন।
উল্লেখ্য, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে পদ বাণিজ্য এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের তথ্যবহুল সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত হলেও তা আমলেই নিচ্ছে না বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। ফলে তৃণমুলে দিনে দিনে বেক্ষাভের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।