পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইস্কাটনের বাসভবন থেকে ডিবি উত্তরের একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদÐ দেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব।
রফিকুল ইসলাম মিয়ার পিএস মোকসেদুর রহমান আবির বলেন, স্যার সারাদিন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার কিছু সময় পরেই ডিবি পুলিশের একদল সদস্য তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ডিবির এডিসি গোলাম সাকলাইন সিথিল বলেন, তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। ডিবির একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বর্তমানে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছরের ১০ জুন রফিকুল ইসলাম মিয়া দুদকের নোটিশ গ্রহন করলেও কোনো জবাব দেননি। পরে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর এ মামলার বিচার শুরু হয়। গতকাল ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব এই মামলার রায় দেন। এতে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে তিন বছরের কারাদÐ প্রদান করেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদÐের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির না থাকায় আদালত আসামির প্রতি সাজার পরোয়ানা ইস্যু করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান ও ইকবাল হোসেন রায় পেছানোর জন্য সময়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল মামলাটি পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।