পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের মুখে তালা ঝুলিয়ে দিলো নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাধা থাকবে না; কিন্তু তারা ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র দখল ও অনিয়ম দেখলেও কেউ মুখ খুলতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গতকাল ইসি সচিব সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষকরা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষন করবেন। ভোটগ্রহণের সময় যতই ঝামেলা হোক না কেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না; মিডিয়ায় কথা বলতে পারবেন না। গতকাল আগারগাঁস্থ নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের এক ব্রিফিং ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
ইসি অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এএসএম আসাদুজ্জামান। এবার নির্বাচনে ৪০ হাজার ২০০টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন করে পর্যবেক্ষক রাখার একটা নীতিমালা করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের বয়স ২৫ বছরের নিচে নয় এবং এসএসসি পাসের যোগ্যতা থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্থানীয় নিবন্ধিত ১১৮টি সংস্থাকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ইসিতে আবেদন করতে হবে। আর বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করবে বলে ইসি প্রত্যাশা করছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে আগামী ২৫ নভেম্বর পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে আগামী ২২ নভেম্বর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা কোনো লাইভ প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না কোনো ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না জানিয়ে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, যখন আপনারা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন তখন কয়েকটি সাবধান বাণী উচ্চারণ করবেন। নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিচয়পত্র সার্বক্ষণিক গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। যাতে যে কেউ বুঝতে পারেন যে আপনি একজন পর্যবেক্ষক। প্রথমে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে তার পরিচয় দিতে হবে। কেন্দ্রে কোনো মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না। কোনো ছবি তুলতে পারবে না, কোনো কমেন্টস করতে পারবে না। শুধু মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। কেন্দ্রে ভোট নিয়ে যত প্রবলেমই হোক সে পর্যবেক্ষণ করে আপনার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন।
তারপর আপনি সবার কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে কম্পাইল করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন দিবেন। পর্যবেক্ষণের সময় গোপন কক্ষে যাওয়া যাবে না, কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবে না। প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসারকে কোনো পরামর্শ দিতে পারবে না। এগুলো ক্লিয়ার করে বলে দেবেন। যদি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, এটা তারা কমিশনকে অবহিত করতে পারেন বা আপনাকে লিখিতভাবে অবহিত করতে পারেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক সাংবাদিক তাদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন, উনি (পর্যবেক্ষক) কিন্তু কথা বলতে পারবেন না। কোনো সংবাদ পত্রে লাইভে কথা বলতে পারবে না, কমেন্টস করতে পারবে না। ব্রিটেনের পুলিশের মতো মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে। আপনাদের কাছে লিখিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে কোনো মন্তব্য নয়। আপনারাও যখন কম্পাইল করে জমা দেবেন, তার আগে আপনারাও কোনো কমেন্টস করবেন না। রিপোর্ট কম্পাইল হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। আপনাদের আচরণ হবে নিউট্রাল। এমন কোনো ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ করবে না যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। এগুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন নিবন্ধন যাতে বাতিল না হয়। সে দিকে আপনারা খুব বেশি খেয়াল রাখবেন। আপনারা অনেকে কিন্তু এনজিও হিসেবে কাজ করেন। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনারা নির্বাচনেও কাজ করেন। কিন্তু এখান থেকে যদি আমরা রিপোর্ট দেই যে, আপনি এই ধরণের একটি আচরণ করেছেন। যেটার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। তাহলে কিন্তু আপনার নিবন্ধনটা বাতিল করার জন্য যারা নিবন্ধন দেয় তাদেরকেও আমরা চিঠি দিয়ে দেবো। বি কেয়ারফুল। এমন কোনো কাজ করবেন না যেটার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া ভÐুল হতে পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।