পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ যাতে কোন ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌপথ ও সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদকের সাথে অস্ত্রের চালান আসতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ও নজরদারি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে মানুষ যাতে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অস্ত্র, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে পর্যাপ্ত চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের সভা, বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অফিস এই সভাগুলোর আয়োজন করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম চেম্বারে সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আদিল চৌধুরী, ডিজিএফআইর অধিনায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বশির আহমদ, কোস্টগার্ডের অধিনায়ক এস এম মঈন উদ্দিন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা প্রমুখ।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালানরোধ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী এবং চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপরাধীরা আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। এ জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বয়ভাবে কাজ করতে হবে।
সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে নগরীতে যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ সর্বোচ্চ নজরদারিতে থাকবে। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। ভোটারদের ভয়ভীতি, ভোট কেন্দ্র দখল, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলবে না। মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রযেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।