পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনও পর্যবেক্ষক গণমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন না। তাদেরকে মূর্তির মতো থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার উদ্দেশে দেয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন আর পেছানো হবে না, এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এবারের নির্বাচন একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। ফলে নির্বাচন হবে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমি আশা করব, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি বাতিলের পর ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন নিয়েছে। প্রথমে এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত হতে হয়। পরে আমরা আহ্বান করলে আবেদন করবেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে কমিশন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেবে। অভিযোগ থাকলে শুনানি নিষ্পত্তি শেষে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়।’
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘যে নীতিমালা আছে, সবাই সেটি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেতে পারে। এজন্য খুব সতর্ক থাকতে হবে।’
পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণের সময় নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিচয়পত্র সার্বক্ষণিক গলায় ঝুলিয়ে রাখবেন। প্রথমে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে পরিচয় দিবেন। কেন্দ্রে কোনো মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না, কোনো ছবি তুলতে পারবেন না, কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না, শুধু মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।’
ইসি সচিব বলেন, ‘কেন্দ্রে যত সমস্যাই হোক পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিধিরা প্রতিবেদন দিবেন। সেগুলো কম্পাইল করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। পর্যবেক্ষণের সময় গোপন কক্ষে যাওয়া যাবে না, কাউকে নির্দেশনা দিতে পারবেন না, প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারকে কোনো পরামর্শ দিতে পারবেন না। এগুলো স্পষ্ট করে সবাইকে বলে দিতে হবে। যদি কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, এটা তারা কমিশনকে অবহিত করতে পারেন বা আপনাকে (পর্যবেক্ষণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি) লিখিতভাবে অবহিত করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক তাদের সামনে ক্যামেরা ধরবেন, কিন্তু তিনি কথা বলতে পারবেন না। কোনো লাইভে কথা বলতে পারবেন না, মন্তব্য করতে পারবেন না। ব্রিটেনের পুলিশের মতো মূর্তি হয়ে শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন। রাজনৈতিক দলের সদস্য এমন ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবে না।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন নিবন্ধন যাতে বাতিল না হয়। সেদিকে আপনারা খুব বেশি খেয়াল রাখবেন। বি কেয়ারফুল। আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, এমন কোনো কাজ করবেন না যেটার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াটা ভণ্ডুল হতে পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।