পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ছয়টিতেই প্রার্থী দিতে চায় মহাজোটের শরিকেরা। এর মধ্যে এরশাদের জাতীয় পার্টি চারটিতে এবং জাসদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ একটি করে আসনে মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী। অন্যদিকে মহানগর ও জেলার অন্যান্য আসনের মতো এ ছয়টিতেও একাধিক ভিআইপিসহ আওয়ামী লীগের অনেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। ফলে এককপ্রার্থী নির্ধারণে মহাজোটকে বড় ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন নেতারা। একতরফা দশম সংসদ নির্বাচনে দুইটি আসনে জাতীয় পার্টি, একটিতে জাসদ এবং একটিতে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী বিজয়ী হন।
বিগত পাঁচ বছরে এ চারটি সংসদীয় আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংসদ সদস্যদের দূরত্ব বাড়ে। আবারও এসব আসনে আগের প্রার্থীরা মনোনয়ন পেলে ভোটের মাঠে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মনোনয়ন বঞ্চিত হলে মহাজোটে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে কঠিন হবে। এ অবস্থায় যিনি জিতে আসতে পারবেন তাকেই মহাজোটের প্রার্থী দেয়া হবে। শরিকদের সাথে আসন বণ্টন নিয়ে বড় ধরনের কোন সঙ্কট হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আবারও মহাজোটের মনোনয়ন পেতে চান শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি। ইতোমধ্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরীসহ ২৫ জন দলের মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন। গত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে ভান্ডারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে সেখানকার নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ। তারা এবার সেখানে নিজেদের প্রার্থী দিতে চান।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবারও মহাজোটের প্রার্থী হতে আগ্রহী। ওই আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ ১০ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এম এ সালাম ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ কয়েকজন প্রার্থী দলের মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গত দু’টি সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি হয়েছেন। মহাজোটের শরিক এবং মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েও তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেননি। এসব বিষয় নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হতে চান ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের মহাসচিব মুফতি মো. ফয়জুল্লাহ। বর্তমান এমপি ড. হাছান মাহমুদ, বিএমএ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীসহ চার জন এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে রয়েছেন। দুইবারের বিজয়ী হাছান মাহমুদ এবারও দলের প্রার্থী হবেন এমন প্রত্যাশা করলেও এখন তার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুফতি ফয়জুল্লাহ। হেফাজতের সাথে আওয়ামী লীগের গাটছাড়া বাধার প্রেক্ষাপটে ওই আসনটি মহাজোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ এবং সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ ১৭ জন দলের ফরম নিয়েছেন। এ আসনে এবারও মহাজোটের প্রার্থী হতে চান জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদল। দুইবার তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ওই আসন থেকে বিজয়ী হন। তবে আওয়ামী লীগ চায় নিজেদের প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাশী মোসলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, মঈনুদ্দিন খান বাদল দুইবার এমপি হয়েছেন। তিনি এখন শারীরিকভাবেও দুর্বল। এ অবস্থায় আমি সেখানে নির্বাচন করতে চাই।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে এবারও মহাজোটের মনোনয়ন চান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। ২০০৮ সালে এ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম বিএসসিকে বাদ দিয়ে গত নির্বাচনে জিয়াউদ্দিন বাবলুকেই প্রার্থী করা হয়। অবশ্য এর প্রতিদান হিসেবে পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম বিএসসিকে মন্ত্রী করা হয়। তবে তিনি এবার এ আসনটি ছাড়তে রাজি নন। ইতোমধ্যে নুরুল ইসলাম বিএসসি ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৬ জন দলের ফরম সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ ১২ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ আসনে এবার মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে চান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল প্রকট। এরপরও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেখানে নিজেদের প্রার্থীকেই দেখতে চান। ভিআইপি প্রার্থী হিসেবে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে সেখানে মহাজোটের প্রার্থী করতে তৎপর পার্টির শীর্ষ নেতারা। আলোচিত এ ছয়টি আসন ছাড়াও চট্টগ্রামের অন্য ১০টি আসনে গড়ে ১৪ জনের বেশি নেতা-নেত্রী নৌকা পেতে মাঠে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।