বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তারা কেউ গৃহকর্মী, কেউ পোশাক শ্রমিক, কেউ আবার গৃহিনী। লাভের আশায় নিজেদের জমানো সব টাকা-পয়সা জমা করেছিলেন। কেউ দৈনিক, কেউ সাপ্তাহিক, কেউ মাসিক কিস্তিতে আবার কেউ এককালীন টাকা জমা করেন। অর্গানাইজেশন অব সোশ্যাল সার্ভিস অ্যান্ড এলিমিনেশন অব পোভার্টি (ওসেপ) নামের এ সংস্থাটি আশ্বাস দিয়েছিল জমানো টাকায় অনেক মুনাফা দেয়া হবে। কিন্তু এখন অফিস গুটিয়ে নিয়েছে এ সংস্থাটি। গতকাল রোববার নগরীর জামাল খান সড়কে প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতারিত শত শত নারী-পুরুষ এই ‘হায় হায় কোম্পানির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নগরীর দেওয়ান হাট, বিআরটিসিসহ কয়েকটি এলাকায় অফিস খুলে বসে ওসেপ। তাদের স্লোগান ছিল ‘ওসেপের সদস্য হব, নিজের জীবন নিজে গড়ব’। দরিদ্র মানুষকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা জমা নেয়। প্রতারিতরা জানান, অন্তত ৫০ হাজার মানুষের জমানো কয়েক কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হাওয়া হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতারিতরা। বৃদ্ধা সাবিনা খাতুন ও হোসনে আরা বেগমসহ কয়েকজন হতদরিদ্র নারী জানান, তারা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে কিস্তিতে টাকা জমা করেছেন। তাদের বলা হয়েছিল জমানো টাকার কয়েকগুণ লাভ দেয়া হবে।
এ সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং কিস্তি জমা দেয়ার বইও রয়েছে তাদের কাছে। কিন্তু যারা কিস্তির টাকা জমা নিয়েছেন তাদের অফিস এখন বন্ধ। অফিস গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন তারা। পেশায় দারোয়ান ফজল আহমদ জানান, পরিবারের সুখের আশায় দিনে ১০০ টাকা করে জমিয়েছিলাম। ২০ হাজার ১৬০ টাকা জমেছিল। আফসোস, আম-ছালা সব গেল। গরিবদের সঙ্গে প্রতারণা করলো ওসেপ। রিকশাচালক মো. শফির ৬০ হাজার টাকা, আবদুস শহীদের ১৫ হাজার ২৫০ টাকা, মো. ফয়সলের ১৬ হাজার টাকা, নাজমা বেগমের ২২ হাজার ১০০ টাকা, ঝাউতলার মনোয়ারা বেগমের ৯৮ হাজার টাকা, ডিজেল কলোনির সামসুন নাহার ও তার মেয়ে নূরজাহান বেগমের ৩ লাখ টাকাসহ অসংখ্য গ্রাহকের টাকার দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।