Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কিছু নেই

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলতে কিছু নেই। পৃথিবীর সব দেশে যখন নির্বাচন হয় তখন যে সরকার ওই সময় ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারই বহাল থাকে। নির্বাহি ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের নিকট। এ সময় মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রাট মন্ত্রীদের কেউ থাকবেন না। তবে সেখানে নতুন করে কারও আসার সম্ভাবনাও নেই। এর আকার ছোট হবে কিনা, সেটা দু-তিনদিনের মধ্যে জানা যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রক্রিয়াধীন। এখন প্রধানমন্ত্রী তাদের পদত্যাগের বিষয়টি দেখছেন। তিনি অ্যাপ্রুভ করলেই সেটা রাষ্ট্রপতির নিকট যাবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাপ্রুভ করলেই তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। রাষ্ট্রপতি অ্যাপ্রুভ না করা পর্যন্ত তারা কেউ অবৈধ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পল্টনে বিএনপি যে তান্ডব চালিয়েছে সেটি পূর্ব পরিকল্পিত। তারা আসলে নির্বাচনে আসতে চায় না। নির্বাচন বানচাল করতেই তারা এ অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাহলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। কারণ এটি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার নির্বাচন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে পাস করলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- সেটিও জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা দেশবাসীরও জিজ্ঞাসা। তারা নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, ড. কামাল হোসেন, নাকি তারেক রহমান!
এ দিকে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, পার্লামেন্টারি বোর্ডের দ্বিতীয় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দু’টি সভায় নির্বাচন মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কাছে দেশি-বিদেশি ৫-৬টি সার্ভে রিপোর্ট আছে। আমরা এ রিপোর্টগুলো স্টাডি করছি। এখনও আমরা আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পর্ব শুরু করেনি। দুই একদিনের মধ্যে আমরা মনোনয়ন পর্ব শুরু করবো।
তিনি বলেন, মনোনয়নে যাতে জনমতের প্রতিফলন হয়, সেই জন্য বোর্ডের সকল সদস্য রিপোর্টগুলো স্টাডি করছি। আগামীকাল অনানুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট পর্যালোচনা হতে পারে। আমরা আশা করছি দুই একদিন পরে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করবো।
কাদের বলেন, ৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকদের মধ্যে ভাগাভাগি হবে এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। এটা কমতেও পারে, আবার বাড়তেও পারে। সেটা নির্ভর করছে ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেটের ক্ষেত্রে। আমাদের শরিকরা কতজন ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেটদের প্রার্থী হিসাবে চান, চাইলেতো হবে না। আবার আওয়ামী লীগের সবাইতো মনোনয়ন পাবে না। আওয়ামী লীগেরও যারা ইলেক্টেবল তারা মনোনয়ন পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ যদি বড় ধরণের জোটে যায়, তাহলেতো স্বাভাবিক কারণে আমরাও যাবো। অনেকই আমাদের সঙ্গে জোট করতে চান। আজ ৩৯ দলীয় একটি জোট এসেছিলো, তারা নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান। তাদের মধ্যে নিবন্ধিত দু’টি দলও ছিলো কিন্তু তাদের কোন প্রার্থীর লিস্ট ছিলো না। কাদের বলেন, যুক্তফ্রন্ট আমাদের জোটে আসবে এটাতে কোন সন্দেহ নাই। যুক্তফ্রন্ট এখনও আমাদের কাছে আসন তালিকা পাঠায়নি, তালিকা পাঠানো হলে আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ