পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা ছিল গতকাল। ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা ওইদিন মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সীমান্তের এপার ওপারে সব ছিল ঠিক ঠাক। সকাল থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দেশী বিদেশী সংস্থার কর্মকর্তাসহ মিডিয়া কর্মীরাও ছিল উন্ম‚খ। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনিহার কারণে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। তারা ‘যাইতাম নয়, নযাইয়ুম’ বলে শ্লোগান দিয়ে তাদের ৫ দফা দাবির পক্ষ বিভিন্ন প্লে কার্ড বহন করেন। তাদের দাবির মধ্যে আছে, গণহত্যার বিচার, সেখানে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও তাদের সহায় সম্পদ ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিলে খাইরুল আমিন নামে এক রোহিঙ্গা একটি হাত মাইক নিয়ে তাদের মর্যাদা, নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা কার্ড প্রদান, নির্বিচারে হত্যার বিচার, তাদের কেড়ে নেওয়া জমি জমা ফেরত দাবি নিয়ে শ্লোগান দেয়।
একইদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টেকনাফের কেরুণতলী ট্রানজিট ঘাট পরিদর্শন করে সেখানে প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো রোহিঙ্গাকে দেখা যায়নি। টেকনাফের ঘাটে কয়েকজন আনসার সদস্য ট্রানজিট ক্যাম্পটি পাহারা দিচ্ছেন। নাফ নদীতে রোহিঙ্গা পারাপারের কোনো নৌকা বা ট্রলারও দেখা যায়নি। রোহিঙ্গাদের দাবি, তাদের প্রত্যাবাসনের আগে তাদের নাগরিকত্ব প্রদান, মিয়ানমারে ফেলে আসা বসতভিটা ও সম্পদ ফেরত, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না হলে তারা ফিরে যাবে না। অনেকেই প্রত্যাবাসন আতঙ্কে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে। তারা নাগরিকত্বসহ বসত ভিটা পেলে ফিরে যাবেন বলে জানান।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, টেকনাফের ২২ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা যদি স্বেচ্ছায় যেতে চাইলে যে কোন সময় প্রত্যাবাসন শুরু হবে। মিয়ানমারও প্রস্তুত আছে। তাদের সাথে কথা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা সংখ্যা এখন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৪। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর এসেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। গতকাল ৩০ পরিবারের ১৫০ জনকে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত করা হলেও রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে রাজি নয়, তাই কোন ধরণের প্রত্যাবাসন হয়নি।
গত প্রায় এক বছর চেষ্টার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। সম্প্রতি দুই দেশের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। ফলে গতকাল বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি দল মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কথা ছিল। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টেকনাফের কেরুনতলী ও বান্দরবানের ঘুমধুমের দুইটি ট্রানজিট ক্যাম্প প্রস্তুত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।