বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান।
দলের হাইকমান্ডের সিগন্যাল পেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দাবী করে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভালবাসে। ভোট দিতে এখনো অধীর আগ্রহে অাছেন। মানুষের সেই ভালবাসার দায়বদ্ধতা থেকে উপরের সিগন্যাল পেয়ে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।
তিনি বলেন, চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার শহরের গোলদীঘিরপাড় সংলগ্ন নিজ বাসা জামান ভিলায় সাবেক এমপি সহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, দলের বাইরে যাইনি। কর্মকাণ্ডে যতটুকু সম্ভব সক্রিয় থেকেছি। জনগণের বিপদে আপদে ছুটে গিয়েছি। আগামী সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধানের শীষ নিয়ে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চাই।
গণতন্ত্রের উত্তরণে সব মানুষ উদগ্রীব। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন আবশ্যক। সেই নির্বাচনে বিএনপি হাই কমান্ড তকে মনোনয়ন দেবেন বলে তিনি আশা করছেন।
তিনি দল ও দেশের স্বার্থে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই তিনি কাজ করবেন বলে জানান সহিদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারস্থ নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান বিএনপির 'সংস্কারপন্থী' হিসেবে একসময়
চিহ্নিত কক্সবাজার- রামু আসনের জনপ্রিয়
সাবেক এই সংসদ সদস্য। এসময় তাঁর বড় ভাই সাবেক জনপ্রীয় এমপি মরহুম এড.খালামেলাভাবে কথা তুলে ধরে বলেন নিজের অনেক কথা।
তিনি বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতিতে সর্বদা সক্রিয় ছিলাম, আছি। মিডিয়ায় প্রচারণা কম করেছি বিধায় অনেকে জানেনা। নিজ এলাকায় এতিমখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি (ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান) মনোনয়ন পেতে তিনি বিভিন্ম দলের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে গুঞ্জন মাঠে চাউর হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কারো সাথে যোগাযোগ করিনি। বরং বিভিন্ন ইসলামী দল আমাকে মনোনয়ন দিতে চেয়েছে। আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি সাড়া দিইনি। বিএনপি ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
ব্রিফিংকালে অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, আমিনুল হক চেয়ারম্যান, সফিনা আজিমসহ দলীয় অনেক নেতাকর্মী ও আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।