পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে- “এবং (এই রাসূল (সা.) তাদের ওপর হতে তাদের ভারি বোঝা এবং শৃঙ্খল (অধীনতার) যা তাদের ওপর (নাফরমানীর কারণে আরোপিত) ছিল, তা দূরীভূত করেছেন (এবং তাদেরকে স্বাধীনতার নেয়ামত দ্বারা সমৃদ্ধশালী করে তুলেছেন)।” (সূরা আ’রাফ: আয়াত ১৫৭)
হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা.)-এর দুনিয়ায় তাশরিফ আনয়ন হল মজলুম মানবতার জন্য নাজাত এবং মুক্তির শুভ বার্তার দিন। তাঁর সৌভাগ্যপূর্ণ জন্ম সুন্দরতম মুহূর্ত ছিল, যার আনন্দ সারা কায়েনাতে উদযাপন করা হয়েছিল। তাঁর আবির্ভাব একজন মুমিনের জিন্দেগীর সবচেয়ে বড় খুশীর ও আনন্দের বিষয়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁর আবির্ভাবকে উন্মতের জন্য বহু বড় এহসান দ্বারা বিশ্লেষণ করেছেন। সেই দিন যখন সাইয়্যেদুল আম্বিয়া (সা.)-এর শুভ জন্ম হল এবং তার মুবারক আবির্ভাব দ্বারা বিশ্ব মানবতাকে সমৃদ্ধ করা হল, ইহা সকলের জন্যই তাজীম ও তাকরীমের যোগ্য। পবিত্র আবির্ভাবের সেই শ্রেষ্ঠতম দিন এতখানি উপযুক্ত যে, আমরা সেই দিন শ্রেষ্ঠ নেয়ামত লাভের ওপর সর্বতোভাবে শোকর গুজার হয়ে যাব এবং তাঁর সম্মানের জন্য নিজেদের দিল ও প্রাণকে রাস্তার বিছানায় পরিণত করব এবং ইহাকে প্রত্যেক লভ্য যায়েজ তরীকায় প্রাণবন্ত সম্মান, বিশ্বাস ও মহব্বতের প্রেরণায় অবগাহন করে জশন-এর সুরতে খুব আড়ম্বরের সাথে উদযাপন করব। উপরোল্লিখিত হাদীসসমূহ দ্বারা হুজুর (সা.)-এর মিলাদ উদযাপনের আরও একটি দলিল এবং প্রমাণ পাওয়া যায়। কেননা, হুজুর (সা.) হযরত মূসা (আ.)-এর সাথে সম্পর্কের কারণে সেই দিনটি উদযাপন করেছেন এবং স্বয়ং রোজা রেখেছেন। এর দ্বারা কোনও বড় দিন উদযাপন করার বৈধতা খোদ সুন্নাতে মোস্তফা (সা.)-এর দ্বারা প্রমাণিত হয়। আর ঈমানদারদের জন্য মিলাদে মোস্তফা (সা.)-এর দিনের চেয়ে, আর কোনও দিন কি বড় হতে পারে? সুতরাং সেই বেলাদতের দিনকে উদযাপন করাও সুন্নাতে মোস্তফা (সা.)-এর অনুসরণ করারই শামিল। কোন কোন মানুষের মনে এই প্রশ্নের উদয় হতে পারে যে, ইহুদীরা নিজেদের আজাদির দিনকে অর্থাৎ আশুরার দিনকে রোজা রেখে উদযাপন করত তবে, মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিনকে ঈদের দিনের মত উদযাপন করা হয় ঠিকই কিন্তু এই দিন রোজা রাখা হয় না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর এই যে, কোন মুবারক দিনকে আনন্দের দিন হিসেবে উদযাপন করা সুন্নাত। ইহাকে শরীয়তের সীমার মধ্যে রেখে অন্যভাবেও উদযাপন করা যায়। ইহুদীরা আশুরার দিন রোজা রাখত বলে এর অর্থ এই নয় যে, এই দিনের উদযাপনকে রোজা রাখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং এই দিনকে রোজা রাখা ছাড়া অন্য কোনভাবে উদযাপন করা যাবে না। উল্লিখিত হাদীসসমূহে এই কথার প্রতি কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। বাস্তবতা এটাই যে, ইহুদীরা এই আনন্দের সময় একটি অতিরিক্ত নেক আমল হিসেবে রোজা রাখত এবং ঈদের দিনের মত উদযাপন করত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।