বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ১২ বছরেও মেরামত হয়নি সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পলাশকান্দা ভাঙা ব্রিজ! ব্রিজটি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ত্রাণের অর্থায়নে পিআইও অফিস করেছিল বলে জানা যায়। ব্রিজের উভয় পাশে সংযোগ সড়কের সাথে মাটি ভরাট না থাকায় নির্মাণের অল্প ক’দিন পরই বন্যায় তা ভেঙে যায়। বহু কাক্সিক্ষত ওই ব্রিজ এলাকাবাসী একদিনও ব্যবহার করতে পারেননি। এরপর বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যান- মেম্বার ও এমপি পদে পরিবর্তন আসলেও ব্রিজটির অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
জানা গেছে, এই রাস্তা দিয়ে চানপুর, হরিরামপুর, জিগারকান্দা, বালিচান্দা, পলাশকান্দা, দনারভিটা, মাইঝপাড়া, পুড়াপুটিয়া ও উগলিরপাড়সহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ওই এলাকার ধান-চালসহ উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা এমনকি ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতসহ গর্ভবতী মা, শিশু ও রোগী পরিবহনের আর ভিন্ন কোন পথ নেই। তাদের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও এখন তা দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধানের বস্তা মাথায় ষাটোর্ধ্ব এক মুরুব্বি ও লাকড়ির বোঝা মাথায় চল্লিশ বছর বয়সী এক নারী বলেন, ‘‘কি করবাম বাহু, বিরিজ ভাঙা। এইন্দা কুনু গাড়িগুড়ি চলে না। কিছু নিলে মাতাত কইরাই নেওন লাগে।’’ পলাশকান্দা গ্রামের জলি জানান, যে বছর ব্রিজ হয়েছে সেই বছরই ভেঙে গেছে। একদিনও ব্যবহার করতে পারিনি। আমজত আলী বলেন, এইবার গ্রামের সবার থেকে টাকা উঠিয়ে বাঁশ-কাঠ কিনে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবেগে চোখের জল ছলছল করে উঠা লিয়াকত আলী বলেন, অনেক কষ্ট করে মেয়েরে বিএ পাশ করিয়েছি। মেয়ের জন্য বিয়ের ভালো একটা প্রস্তাব এসেছিল। তারা ¯পষ্ট করে বলেছে মেয়ে পছন্দ হয়েছে, কিন্তু রাস্তা পছন্দ হয়নি। ব্রিজটিতে কোন নেইম প্লেট নেই। এটা কখন কার আমলে হয়েছিল জানতে চাইলে সিংহেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এইটা ত্রাণের ব্রিজ। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সম্ভবত: সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে পিআইও অফিস ব্রিজটি করেছিল। এর ঠিকাদার ছিল ময়মনসিংহের লাল মিয়া। পলাশকান্দা সরকার বাড়ির আরিফুল আলম সরকার বলেন, ব্রিজটিতে খুব নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থা হয়েছে। এলাকাবাসী ব্রিজটির দ্রæত সংস্কার দাবি করেন। এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি অনেক আগের। এটি সরিয়ে আগামী বছর আমরা নতুন করে দিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।