রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমতলীতে ওয়ারেন্টের আসামিদের এক বছরেও গ্রেফতার না করার রহস্য কোথায় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আমতলী উপজেলার পূজাখোলা গ্রামের আ. জব্বার প্যাদার ছেলে মো. হাবিব প্যাদা (৩৫) বিগত ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিআর-৫৩/১৭ নম্বর একটি মামলা দায়ের করলে আদালত প্রথমে সমন, পরে সকলের বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর ২০১৭ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
দীর্ঘ এক বছর আকলিমা, শাহনাজ, আনোয়ার, রাবেয়া, জহিরুল নামক পাঁচজন আসামি পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। দায় এড়াতে পুলিশ গত ১৬ অক্টোবর ২০১৮ আসামি আকলিমাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে অপর আসামি শাহনাজকে ধরতে যায়। শাহনাজ তখন জহুরের নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেল।
পুলিশ আসামি শাহনাজের সাথে কথা বলার সময় আকলিমা পেছন থেকে পালানোর জন্য দৌড়িয়ে যায়। পালানোর সময় সে সফেজ গাজীর পুকুর পাড়ে টানানো বেড়া জালে পেঁচিয়ে পড়ে গেলে তার বাম হাত একটি হাঁড় ভেঙে যায়। পরে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমতলী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ওদিকে পুলিশ আকলিমাকে না পেয়ে শাহনাজকেও ছেড়ে চলে আসে। হাসপাতাল এসে পুলিশ আকলিমাকে গ্রেফতারের পরিবর্তে কোর্ট থেকে জামিন নেয়ার পরামর্শ দিলে ২১ অক্টোবর আকলিমা ও শাহনাজ জামিন নেয়। সাতদিন পর ২৩ অক্টোবর আকলিমার ভাই আমির হোসেন, সিআর-৫৩/১৭ নং বাদী হাবিব প্যাদা ও সিআর-৮০১/১৭ নং মামলার বাদী মোতালেব মৃধাসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় চুরি, ভাঙচুর, শ্লীলতাহানি, মারধর, গুরুতর জখম ইত্যাদি মিথ্যা অভিযোগ এনে ১৩/৩৪৬ নম্বর থানায় মামলা দায়ের করে।
এই মিথ্যা মামলায় পুলিশ ১ নম্বর আসামিকে পরের দিন গ্রেফতার করে। অথচ এক বছরেও আনোয়ার, রাবেয়া, জহিরুলকে এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্তে¡ও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেননি। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।