বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর : রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম মারা গেছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কারাগারের জেলার ও রমেক হাসপাতালের পরিচালক।
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন জানান, কামরুল ইসলাম বেশ কিছুদিন থেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। ভোর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সে মারা যায়। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় জানান, হাসপাতালের আনার কিছুক্ষণ পরেই কামরুল মারা যায়। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। ময়না তদন্তের জন্য কামরুলের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাবু সোনা হত্যা মামলাটি রংপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। মামলার অপর আসামি বাবু সোনার স্ত্রী কামরুলের প্রেমিকা স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা জেল হাজতে রয়েছে।
গত ২৯ মার্চ রাতে বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সেই সূত্র ধরে বাবু সোনার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।