বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রূপগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকার বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড নামে তেলের মিলে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। শনিবার সকালে এ শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রূপসী এলাকার বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড নামে তেলের মিলে প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে মিলের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় মিল কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকরা ৯ দফা দাবি পেশ করেন। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কোন প্রকার উত্তর না পাওয়ায় শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানার ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। পরে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)-এর কাছে গিয়ে ৯ দফা দাবির বিষটি অবহিত করেন। শ্রমিকরা অভিযোগ করে আরো জানান, কোম্পানির নিয়োজিত ঠিকাদার দেলোয়ার ভুইয়া, বকুল, ফখরুল, কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ চাকমা, কামাল হোসেন, পিএম শিশির বাবু প্রায় সময়ই শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করে থাকেন। শ্রমিকদের নামাজ পড়তে দেয় না তারা। নামাজের সময়টুকু বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। এছাড়া প্রতি আট ঘণ্টায় একবার টয়লেটে যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। কারখানায় কাজ করতে গিয়ে কোন শ্রমিক আহতের ঘটনা ঘটলে কোন খরচ দেয়া হয় না। সকল শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আহত শ্রমিকের চিকিৎসা করাতে হয়। শ্রমিকদের এ ধরনের অভিযোগের শেষ নেই।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- ক্যাজুয়ালদের হাজিরা বৃদ্ধি করতে হবে। যারা ক্যাজুয়াল ওয়ার্কার আছে তাদের প্রত্যেকের বেতন বাড়াতে হবে। প্রতি বছর অনুযায়ী জানুয়ারী মাসে বেতন বাড়াতে হবে, কারখানা কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে সিফট ডিউটি করানোর জন্য। ম্যানেজমেন্টের ডিউটির গ্যারান্টি দিতে হবে, সিফট ডিউটি করলে তিনটি সিফটে সমানসংখ্যক ক্যাজুয়াল রাখতে হবে, সরকারী ছুটির দিনে ছুটি দিতে হবে, সরকারী ছুটির দিন যদি প্রোডাকশন চালু রাখলে ডাবল হাজিরা দিতে হবে, যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে ক্যাজুয়াল শ্রমিক কম রাখা যাবে না, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের ঈদ বোনাস মূল বেতনের ৫০ ভাগ দিতে হবে, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, কারখানার কর্তৃপক্ষ ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরিচুত্য করতে পারবে না। কোন ক্যাজুয়াল শ্রমিকের ব্যাপারে কর্মকর্তাদের অসন্তুষ্টি থাকলে বিডিএফদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ চাকমা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক না। এছাড়া কারখানার কার্যক্রম নিয়মের মধ্যেই চলছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়গুলো মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।