পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জোটের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনকে ছাড়াই এই জনসভা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে শুক্রবার বেলা ২টায় ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে এ সভার কার্য্ক্রম শুরু হয়।
জনসভার প্রধান অতিথি গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন অসুস্থতার কারণে ঢাকা থেকে আসতে পারেননি বলে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সদস্য সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ জোটের অন্য নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
সাত দফা দাবি নিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকার পর রাজশাহীতে এটি ঐক্যফ্রন্টের চতুর্থ জনসভা। খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের মত দাবি রয়েছে ওই সাত দফার মধ্যে।
মাদ্রাসা মাঠে নির্মিত পূর্বমুখী সভামঞ্চের ব্যানারে জোটের ওই সাত দফা দাবির বিষয়টি লেখা রয়েছে। মঞ্চের দুই পাশে মাঠের দেয়ালের কাছে টানানো হয়েছেন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত বেশ কিছু ডিজিটাল ব্যানার।
এই জনসভায় অংশ নিতে জুমার নামাজের পর থেকেই নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে আসতে শুরু করেন। ঐক্যফ্রন্টের এই কর্মসূচি ঘিরে মাঠের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে সাত দফার মূল দাবিগুলো নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় রোডমার্চ করে রাজশাহীর সমাবেশে যাওয়ার কর্মসূচি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। তবে পরে রোডমার্চ স্থগিত করে কেবল জনসভা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সেখানে ভোটগ্রহণের জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিন রাখা হয়েছে।
সমঝোতার আগে তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানিয়ে আসা ঐক্যফ্রন্ট নেতা মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই তফসিলে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।