পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার তাদের সুবিধা মতো সংবিধান বানিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সরকার বলছে সংবিধানের ভিতর সব করতে রাজি। সংবিধানের বাইরে যেতে পারবো না। আমার প্রশ্ন, কোন সংবিধান? যে সংবিধান তারা তাদের সুবিধা মত বানিয়ে নিয়েছে? তার পর সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিধান সংবিধানের মধ্যেই আছে। সরকারের এত কাটা ছেড়ার পরেও আমাদের সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে বলতে পারেন যে, সংসদ ভেঙে দেন। সংসদ ভাঙার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসমব কথা বলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ অালোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, বলেন, সরকার জানে এটা (সংসদ ভেঙে দেওয়া) করার সুযোগ আছে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকার সেটা করতে রাজি নয়। কারণ তারা জানে তাদের এমপিরা বিভিন্ন এলাকায় যেসব কাণ্ডকারখানা করেছে, সংসদ ভেঙে দিলে তারা এলাকায় যেতে পারবে। নিজেদের দলের (আওয়ামী লীগ) মধ্যেও এত বিভেদ আছে যে, সেটার জন্যও তা সম্ভব হবে না।
প্রতীক বরাদ্দের আগেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণার সমালোচনা করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা হবে। প্রতীক দিয়ে শুধু প্রস্টার করা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পরে। কিন্তু আজ সারা শহর, সারাদেশ প্রতীক দিয়ে রঙ্গিন পোস্টারে ভরে গেছে। সারাদেশে, সারা জায়গায় নৌকা মার্কায় ভোট দিন, ওমুককে ভোট দিন,এমনকি সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রচারণা হচ্ছ। নির্বাচন কমিশন এসব চোখে দেখে না? "
"না দেখার কারণ তাদের বাড়ির ভেতর থেকে একটা সুরঙ্গ পথ আছে। ওইসব পথ তারা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিল্ডিংয়ে যায়। আর নির্বাচন কমিশন থেকে সুরঙ্গ পথ দিয়ে তারা বাড়িতে আসে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গানো নির্বাচনের ব্যানার ফেস্টুন এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। চোখে পড়তো তাহলে তারা আইন অনুযায়ী এগুলো সরিয়ে ফেলা মুছে ফেলার নির্দেশ দিত। অন্য একটি কারণ থাকতে পারে। তা হলো, আওয়ামী লীগের ব্যানার-ফেস্টুন নামাতে বলতেও নির্বাচন কমিশন ভয় পায়।" -যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছে ২০১৪ সালে দেশী বিদেশী সবাইকে বলতে শুনেছি, যে সংবিধানের বাধ্যবাধকতার জন্য, নিয়ম রক্ষার জন্য নির্বাচন করতেই হচ্ছে। পরে নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু এটা পাঁচ বছরেও সফল হয়নি।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, সংসদে পাস হলো না, প্রেসিডেন্টকে দিয়ে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে পাশ করিয়ে ফেলা হলো। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেছেন শহরগুলিতে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। আওয়ামী লীগের হারার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, শহরে মানুষ বেশি সচেতন। আরএই যন্ত্র ওইখানেই ব্যবহার করা হবে, যাতে করে চুরি করে পাশ করে দেওয়া যায়। যে যন্ত্র টা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাতিল করে দিচ্ছে সেটা আমাদের দেশে করার এত জুনুন কেন আমরা বুঝিনা। কিন্তু সাধারন মানুষ বুঝে, একটা রিকশাওয়ালাও বুঝে। টিপ দিবে এক জায়গায় ভোট যাবে আরেক জায়গায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার মুক্তির বিষয়ে সংবিধানের কোথায় বাঁধা আছে? হাই কোর্ট তাকে জামিন দিল কিন্ত নিম্ন আদালত জামিন দিতে পারলো না। যে মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হলো সে মামলার সব আসামি জামিনে আছে। ভাবেন একবার, অভিযোগ যে, তিনি হুকুম দিয়েছেন আর কুমিল্লার কিছু লোক আগুন দিয়েছে এবং সেখানে লোক মারা গেছে। আগুন দিয়েছে তারা জামিনে আছে আর তিনি হুকুম দিয়েছেন তার জামিন হবে না? তিনি তো তখন আটকা ছিলেন গুলশান অফিসে সেখানে তখন সেখানে আমিও ছিলাম। টেলিভিশনের লাইন কাটা ছিল, ফোনের লাইন কাটা ছিল, খাবার নিতে পারত না, আমাদের অনেকে খাবার নিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেখান থেকে কিভাবে সে হুকুম দিলেন আর সেই হুকুমের আসামি হিসেবে তার জামিন হলো না। আসলে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তার জনসমর্থন কে ভয় পায়। তাকে ছাড়তে চায় না।
জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপা’র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছ, ২০ দলীয় জোটের শরীক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ,কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।