পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে হামলা, মারধর, ছিনতাই ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হলো।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা ও মির্জানগর এলাকার দি কটন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মহিবুর রব। মামলায় ২১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে - গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ট্রাস্টি ডা. নাজিম উদ্দিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সালাম, সিরাজুল ইসলাম, আবু তাহের, দিলিপ কুমার, জমি বেচাকেনার মধ্যস্থ্যতাকারী আওলাদ হোসেন, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রায়হান কবির, ডা. আব্দুল কাদের, সন্ধ্যা রানী, ডা. ইকরাম হোসেন, ঠিকাদার খোকন, আব্দুর রহিম, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্টার গোলাম মর্তুজা আলী বাবু, ইঞ্জিনিয়ার অনিল বাবু, শিরিন, বুলবুলি, মোরশেদ ও শাহ আলম।
এরআগে মঙ্গলবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রীদেরকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাজানো নারী নির্যাতনের মামলা ও ছাত্রদের ব্যবহার করে হামলার পরামর্শ দেবার বিষয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্টার গোলাম মর্তুজা আলী বাবুর সাথে টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়টি ফাঁস হবার পর আলোচনার ঝড় উঠে।
গত ২৪অক্টোবর রাতে কাজী মহিবুর রব জমি দখল করে তার পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। একদিন পর শুক্রবার তিনি দলবল নিয়ে পিএইচএ ভবনের অডিউটোরিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং কটন ক্রাফটস টেক্সটাইল লিমিটেড নামের ব্যানার ঝুলিয়ে দখলে নেন।
কাজী মহিবুর রব এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৪ নভেম্বর আমার ক্রয়কৃত জমিতে লেবার নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হুকুমে আসামীরা চাপাতি, কিরিচ, লাঠিসোঠা, লোহার রড, জিআই পাইপ নিয়ে লেবারদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া একলাখ ৫হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ও উন্নয়নকাজের জন্য নিয়ে আসা আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং খুন জখম করার হুমকি দিয়েছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়েই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত; মাছ চুরি, চাঁদা দাবি, জমি দখলের অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় এপর্যন্ত ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।