Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তফসিল নয়

ইসিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এই আবেদন জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠির কপি জমা দেন জোট নেতা আব্দুল্লাহ হেল কাফি, বাসদের খালেকুজ্জামান লিপন। আগের রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের পর জোটের মুখপত্র সাইফুল হক বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, যদি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধাস্ত এবং সদিচ্ছা থাকে, তাহলে বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইসিকে দেয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য চলমান সংলাপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। সংলাপ শেষ হওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পুরো প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে। গণভবনে ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট আটটি দাবি তুলে ধরে। যার মধ্যে রয়েছে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, ইসি পুনর্গঠন, ইভিএম ব্যবহার না করা, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বাম গণতান্ত্রিক জোট সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেন। ইভিএম প্রকল্প বাতিলেরও দাবি জানানো হয়। অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ নির্বাচনের বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবীগুলো হলো- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ২য় ও ৮ম সংশোধনীসহ সংবিধানের স্বৈরতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, ক্ষুদ্র জাতিসত্বাবিরোধী সকল বিধান বাতিল করে সংবিধানের গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ঠ্য নিশ্চিত করা। সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সাংবিধানিক পদে নিয়োগের বিধান চালু করা। ৫৪ ধারা, ৫৭ ধারাসহ নিবর্তমূলক ও অগণতান্ত্রিক সকল আইন ও সার্বজনীন মৌলিক অধিকার পরিপন্থী সকল কালাকানুন বাতিল করা। সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আই প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা দরকার, যাতে নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়ানো যায়। বিচার বিভাগসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাসমূহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। গুম-খুন, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড অবিলম্বে বন্ধ করা। স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের গ্রহণযোগ্য তদন্ত, অপরাধিদের চিহ্নিত ও তাদের আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশী হস্তক্ষেপ, পুলিশী ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও রিমান্ডের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা প্রভূতি।
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সঙ্গে পহেলা নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সংলাপ শুরু হয়। গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা সংলাপে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সুরাহা হয়নি।



 

Show all comments
  • সফিক আহমেদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:০০ এএম says : 0
    সংলাপ শেষ হওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পুরো প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ