পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে ডায়ালগ শেষ হলো। তবে আলোচনা চলবে।
বুধবার দুপুরে সংলাপ শেষে গণভবনে ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার বেশিরভাগই মেনে নিতে আমাদের দলনেতা শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সংলাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাকিটা উনারা (ঐক্যফ্রন্ট) বলতে পারবেন। ভবিষ্যতে আর আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। ডায়ালগ শেষ, আলোচনা চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ নিয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হবার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং তাতে ১০ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনকালীন উপদেষ্টা পরিষদের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটা সংবিধানসম্মত না। সংবিধান মোতাবেক মেয়াদ শেষ হবার আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। আমাদের নেত্রীও তাদের এটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন।
অন্যান্য দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নিতে আমাদের আপত্তি নেই। ঐক্যফ্রন্ট আমাদের যে তালিকা দিয়েছে তা আইনমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে সত্যিকারের রাজবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রী ব্যবস্থা নিবেন। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়ে আমরা সম্মত। আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা বাড়তি কোনো সরকারি সুবিধা-সুবিধা নেবেন না। তাদের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। অন্যদের মতোই সুবিধা ভোগ করবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে তারা যে কথা বলেছেন, সেটা পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই নেই। তবে আমরা বলেছি, সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতা করবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্তি নয় বিএনপি খালেদা জিয়ার জমিনের বিষয়ে বলেছে। আমরা বলেছি, এই মামলা আমারা করিনি, মামলা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হয়েছে। তার জামিনের বিষয় আদালতের এখতিয়ার। তবে আদালত যদি জামিন দেয় সরকার তাতে বাধা দেবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে দেয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার প্রস্তাব নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার বাহানা। এই পিছিয়ে দেয়ার মধ্যদিয়ে ফাঁক-ফোকর হয়তো খুলে দেয়া হচ্ছে, যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে ১/১১’র মতো ঘটনা যেটা আমাদের ইতিহাসে অস্বাভাবিক, সেই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। আমরা সেটাই মনে করছি।
এর আগে গণভবনে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ নেতা।
সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। দ্বিতীয় দফার এ সংলাপ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে।
এদিন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ১০ সদস্যের নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার।
ড. কামাল হোসেন ছাড়াও সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, দলের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, দলের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, স ম রেজাউল করিম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ হয়। ঐক্যফ্রন্টের ২০ জনের প্রতিনিধি দল ৭ দফা দাবি নিয়ে সংলাপে অংশ নেয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।